Bagtui Massacre Lalan Sheikh : লালন মৃত্যুর আঁচ এবার দুর্গাপুরে, CBI ক্যাম্প ঘেরাও করে বিক্ষোভ – protest outside durgapur cbi camp for lalan sheikh murder case


CBI হেফাজতে বগটুইকাণ্ডের (Bagtui Massacre) প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যু ঘিরে রীতিমতো উত্তাল রাজ্য। মঙ্গলবার রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল লালনের পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর আঁচ এবার গিয়ে পড়ল পাশ্ববর্তী জেলা পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) দুর্গাপুরে। সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুর্গাপুর NIT ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকা। NIT ক্যাম্পাসেও সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় এই ক্যাম্পে অনেককে জেরা করেছে সিবিআই। NIT ক্যাম্পাসের বাইরে এদিন বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Bagtui Massacre Lalan Sheikh : থমথমে এলাকা-মোতায়েন পুলিশ, লালনের বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া হার্ড ডিস্ক নিয়ে বাড়ছে রহস্য
সুমিতা সরকার নামে বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, “সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ আমাদের এই বিক্ষোভ। সিবিআই ভারতের মেরুদণ্ড, মানুষের আশা ভরসা। একটা দলের নির্দেশে বাংলার বিরুদ্ধে এই এজেন্সিকে ব্যবহার করে শান্তি শৃঙ্খলা নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে। কীভাবে লালন শেখ সিবিআই হেফাজতে মারা গেল, তা বুঝে উঠতে পারছি না। লালনের মৃত্যুর কারণ না জানা অবধি বিক্ষোভ চলবে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে পথে নেমেছি।”

Lalan Sheikh: লালনের দেহ নিয়ে CBI ক্যাম্প অফিসে ধরনা, তুলকালাম এলাকায়
আরেক বিক্ষোভকারী শুভজিৎ মজুমদার বলেন, “এটা দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষের জমায়েত। যে যে রাজ্যে বিরোধী দলের সরকার, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি সিবিআইকে তোতাপাখির মতো ব্যবহার করছে। সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যুর ঘটনাকে আমার তীব্র ধিক্কার জানাই। সিবিআই হেফাজতে বিজেপি বিরোধী যে কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যরা নিরাপদ নয়। লালনের স্ত্রী দাবি করেছেন, সিবিআই ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আনুক। এখানে সিবিআইয়ের ক্যাম্প রয়েছে, তাই এখানে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।”

Bagtui Massacre Lalan Sheikh: লালন শেখের রহস্য মৃত্যুতে ধুন্ধুমার, CBI-র অস্থায়ী অফিস ঘেরাও শয়ে শয়ে গ্রামবাসীর
সোমবার সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সিবিআই আধিকারিকদের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে আত্মহত্যা করেছে লালন। মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তাঁর দাবি, মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর কাছে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছে। লালনের স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সাত সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এফআইআর খারিজের দাবিতে কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আগামী দিনে এই মামলার গতিপ্রকৃতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *