২০১৬ সালের SLST পরীক্ষা বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরির পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভময় ভুঁইঞা সহ ১৯৩ জন চাকরিপ্রার্থী। এই মামলার শুনানির CBI অনুসন্ধানের নির্দেশের পাশাপাশি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর গলায় এদিন ছিল হুঁশিয়ারির সুর। তিনি বলেন, “অনেক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী রয়েছে বলে আমি প্যানেল বাতিল করছি না। নইলে পুরো প্যানেল বাতিলা করে দিতাম।” মামলাকারীদের তরফে আদালতের কাছে ২১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আবারও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও বেনিয়ম প্রকাশ্যে চলে এল। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের অস্বস্তি বাড়াবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ২১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাদের যাবতীয় নথি যাচাই করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে প্রাইমারি থেকে SLST শিক্ষক নিয়োগে সাদা খাতা জমা দিয়ে অথবা অর্থ বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার একাধিক অভিযোগ আগেও সামনে এসেছিল। তবে বয়স ভাঁড়িয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ এই প্রথম। মামলাকারীর দাবি, “চাকরি পাওয়ার সর্বোচ্চ বয়স ৪০ বছর। কিন্তু SSC প্রকাশিত তালিকার তথ্য থেকে প্রমাণিত বয়স অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরও অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।” উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সেই বছর নভেম্বর মাসে পরীক্ষাও নেওয়া হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে আবার এই মামলার শুনানি রয়েছে, আদালত তখন কোনও দৃষ্টান্তমূলক রায় দেয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবর পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন… কলকাতার খবর পাবেন এই লিঙ্কে। প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল।