আগুন লাগিয়ে শেষ সম্বল বাঁচাতে ছুটোছুটি শখানেক মানুষের। দমকলের সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে আগুন নেভাতে সাহায্য করেন একদল মানুষ তো আরেক দল জমা হয়েছিলেন সুযোগ বুঝে সর্বস্বহারা মানুষগুলির থেকে ফাঁকতালে বেঁচে যাওয়া শ্রীধনটুকুও হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দিতে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পোড়া জিনিস পত্র কুড়িয়ে এনে তা ধুয়ে সেখান থেকে পয়সা, সোনাদানা নিয়ে কিছুটা ফাটকায় মুনাফা করতে উদ্যোগে সামিল হয় কিছু অসাধু ভিড়। আগুন নেভানোর পাশাপাশি এই ভিড়কে সামাল দেওয়াই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় দমকল বাহিনীর কাছে। আগুন নেভানো ছেড়ে লুঠ থামাতে যেতেই বিবেকহীনদের মুখ থেকে শোনা গেল তাদেরও নাকি বাড়ি ছিল ওখানে।
একদিকে জ্বলছে কারও মাথা গোঁজার ঠাঁই তো আরেক দিকে এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্যে ফটোগ্রাফির দক্ষতা দেখাতে ব্যস্ত আরেক দল। আগুন দেখতে, ভিডিয়ো করতেও জমা হয় একদল নিস্ক্রিয় দর্শক। যারা কোনও সাহায্যে না এলেও আরও কঠিন করে তুলছিল দমকলের কাজ। একেই বোধহয় বলে কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। পোড়া-অরক্ষিত ঘরগুলি দেখেও লোভে চকচক করে ওঠে কারও কারও চোখ। ভাবখানা এমন, ‘ঘর তো গিলেছে আগুন, আমরা কিছু কাঁচিয়ে নিলে কী এমন দোষ।’
দু’ঘণ্টারও সামান্য বেশি সময়ে আগুনে গিলে খেল এতদিনের আশ্রয়। মুহূর্তে ভস্মীভূত মাথার ছাদ। একটু একটু করে আধপেটা খেয়ে সঞ্চয়ের টাকা, দু এক কুচি সোনা তা আগুন নয় কেড়ে নিল লোভী-বিবেকহীন কিছু মানুষ। একরাতে একবার নয়, দুবার মারণ আঘাত পেলেন হাবড়া রেললাইন লাগোয়া ঝুপড়ির ৩০-৪০ বাসিন্দারা।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।