হরিপালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হল একজনের। আহত ৩৫ জন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর,পুরুলিয়ার অযোধ্যা থেকে ফিরছিল পর্যটক বোঝাই একটি বাস। আর সেই সময় নয়ানজুলিতে উলটে যায় বাসটি।

হাইলাইটস
- হরিপালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হল একজনের, আহত হয়েছে 35 জন
- পুরুলিয়ার অযোধ্যা থেকে ফিরছিল পর্যটক বোঝাই একটি বাস
- হরিপালে রাস্তার পাশে থাকা একটি নয়ানজুলিতে বাসটি উলটে যায়
রায়দিঘির ৬৭ জনের একটি পর্যটক দল গত সোমবার অযোধ্যায় বেড়াতে গিয়েছিল। বুধবার সেখান থেকেই ফিরছিল তারা। ভোরের দিকে তখন বাসের মধ্যে সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। আর ঠিক তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ইলিপুর এলাকায় রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে উলটে যায় বাসটি। ঘটনার পরই আতঙ্কে বাস থেকে চিৎকার করতে শুরু করেন যাত্রীরা। এরপর বিষয়টি দেখতে পেয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তড়িঘড়ি আহতদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। যার মধ্যে তাপসী হালদার নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় গুরুতর আহত আটজনকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে যান বেচারাম মান্না। এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অযোধ্যা থেকে ফেরার পথে বাসটি উলটে যায় নয়ানজুলিতে। সবাই আহত হয়েছেন। হরিপাল ও চণ্ডীতলা থানার পুলিশ এবং স্থানীয়দের সাহায্যে উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। আহতদের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছ।” বাস যাত্রী বিশ্বজিৎ মণ্ডল, মিনতি কপার, গোলাপী খানরা বলেন, “আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। বাসটা দুলছিল। সম্ভবত বাস চালকেরও ঘুম পেয়ে গিয়েছিল। তাই খালাসি বাস চালাচ্ছিলেন। বাসটি প্রথমে একটি গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে তারপর নয়ানজুলিতে উলটে যায়।”
দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক গ্রাস করেছে যাত্রীদের। আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। আবার কোনও যান্ত্রিক গোলোযোগেও হতে পারে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ