ডিসেম্বরের ডেডলাইন নিয়ে ইতিমধ্যেই দুভাগ হয়েছে গেরুয়া শিবির। BJP-র রাজ্য নেতৃত্বের মুখে ভিন্ন মত শোনা গিয়েছে নির্দিষ্ট তারিখের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে প্যাঁচে ফেলার বিষয় নিয়ে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিনটি তারিখ বেধে দেওয়ায় পালটা ২ জানুয়ারিতে গেরুয়া শিবিরের সংকটের একটি তারিখ বেধে দিয়ে শোনা যায় কুণাল ঘোষকে। এবার দ্বিতীয় নির্ধারিত দিনের শেষে এসে কুণাল এদিন বলেন, “জানেন তো ফুটো কলসি, বাজে বেশি।” ১২ তারিখ সরকার পড়েনি, CBI হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে। আজকে ১৪ তারিখ শেষ হয়ে গেল। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, ১৪ তারিখ অমুক নবান্নের ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দেবেন। আজকে উনি কই ?” অন্যদিকে, CBI হেফাজতে বগটুই কাণ্ডে অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু পর আন্দোলন শুরু করেছে তার পরিবার। পালটা CID তদন্তের দাবি করা হয়েছে। CID বনাম CBI-র পথে এগোচ্ছে বিষয়টি ? কুণালের বক্তব্য, “বিষয়টিকে আমরা এভাবে দেখছি না। তবে CBI-র হেফাজতে এরকম একটা তরতাজা লোক মারা গেল। হ্যাঙ্গিংয়ের তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছে। সেটি নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এই বিষয়টির প্রকৃত তদন্ত হওয়া উচিত।”
পাশাপাশি, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মেঘালয় সফর নিয়ে এদিন কুণাল বলেন, “মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়বে। বিরোধী দল আছে, সরকারি দল হবে। তৃণমূলের দুটো রাজ্য ভারতের মানচিত্রে থাকবে।”
প্রসঙ্গত, কাঁথির জনসভা থেকে ‘গদ্দার ও বেইমান মুক্ত’ মেদিনীপুর গড়ার ডাক দিয়েছিল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ডিসেম্বর মাস ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই কর্মসূচি করার কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেইমতো বুধবার তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে ‘গদ্দার ও বেইমান মুক্ত’ মেদিনীপুর গড়ার লক্ষ্যে তমলুক আবাসবাড়ি এলাকায় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সভাপতি তথা তমলুকের বিধায়ক সৌমেন কুমার মহাপাত্র। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ। তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সভাপতি চঞ্চল কুমার খাঁড়া, তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় সহ তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।