Purba Medinipur : মিটতে চলেছে দাবি, গ্রিন সিটি প্রকল্পে পাঁশকুড়ায় ৮ কিমি রাস্তায় বসল পথবাতি – east medinipur panskura street light install on 8 km road in green city project


West Bengal News : বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রায় পৌঁছে গিয়েছে। এবার পথচলতি মানুষদের জন্য আলোর ব্যবস্থা হল। গ্রিন সিটি মিশন প্রকল্পের (Green City Mission Project) মাধ্যমে এক কোটি টাকা খরচ করে পাঁশকুড়া (Panshkura) পুরসভা এলাকার আট কিমি রাস্তায় পথবাতির (Street Lights) মাধ্যমে আলোকিত করা হয়। বোতাম টিপে পথবাতির আলো জ্বালান পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) জেলাশাসক (District Magistrate) পূর্ণেন্দু মাজি। দীর্ঘ আট কিমি রাস্তায় পথবাতি বসানোয় খুশি পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকার মানুষজন।

Dakshin Dinajpur : তহবিলের টাকায় হওয়া বাতিস্তম্ভে নাম নেই BJP বিধায়কের! তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
মঙ্গলবার রাতে পাঁশকুড়া পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁপাডালি এলাকা জুড়ে মোট আট কিমি রাস্তায় পথবাতির মাধ্যমে আলোকিত করা হয়। এলাকা আলোকিত হওয়ায় এলাকার মানুষের রাতে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে ভীষণ সুবিধা হবে। পাশাপাশি চুরি, ছিনতাই, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। ফলে অপরাধ দমনেও সুবিধা হবে বলেই আশা তাঁদের৷ এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সৌমেনকুমার মহাপাত্র, পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র, পাঁশকুড়া ব্লকের BDO ধেনদূপ ভুটিয়া সহ অন্যান্যরা।

Street Light : ঘুটঘুটে অন্ধকার রাস্তায় বেরোতে আতঙ্ক, আদালতের নির্দেশের পর আশায় বুক বাঁধছে পূর্ব মেদিনীপুর
সৌমেনকুমার মহাপাত্র বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিভিন্ন পুর এলাকায় এই ধরনের উন্নয়ন চলছে৷ আমরা পাঁশকুড়ার পুরসভাবাসী হিসেবে গর্ব অনুভব করছি৷” পাঁশকুড়া পুরসভার প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র বলেন, “তিনটে ওয়ার্ড নিয়ে আট কিলোমিটার রাস্তায় পথবাতি উদ্বোধন হল৷ ৩৭৮টি পোল বসানো হয়েছে আনুমানিক এক কোটি টাকায়৷ এতে পাঁশকুড়া পুরসভার মানুষ খবু উপকৃত হবে৷” পাঁশকুড়ায় আরও উন্নয়ন বলে আশাবাদী জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি৷

Purba Medinipur : গ্রামের পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্ধ ৮৬ লাখ, মহিষাদলে বসছে ৪৯ টি পথবাতি
উল্লেখ্য, পথবাতি বসানোর ফলে পাঁশকুড়া পুরসভার এই আট কিলোমিটার রাস্তা এবার সন্ধ্যা হলেই গোটা রাতই আলোকিত থাকবে৷ ফলে রাতের অন্ধকারে ঘটে চলা দুষ্কৃতী কার্যকলাপ কমবে বলেই আশাবাদী প্রশাসনিক কর্তারা৷ চুরি, ছিনতাই যেমন কমবে, তেমনই মানুষজন এবার থেকে নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন৷ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিন দাবি এতদিনে পূরণ হওয়ায় খুশি তাঁরা৷ তাঁদের দাবি, এই রাস্তায় এতদিন অন্ধকার থাকায় নানা ধরনের সমস্যা হত পথ চলতে৷ অনেক সময়ই চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার সম্মুখীনও হতে হত৷ এবার অন্তত অনেকটাই নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে এবং নিরাপদে পথে চলাচল করা যাবে৷ রাতেবিরেতে বাড়ি ফেরার ক্ষেত্রেও সমস্যা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলেই আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারা৷



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *