প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর রাতে কোতুলপুর থানা (Kotulpur Police Station) এলাকার তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ দলুইকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) বাসিন্দা তথা তাঁর ভগ্নিপতি চিন্ময় মালিকের বিরদ্ধে। পারিবারিক অশান্তির জেরে এই ঘটনা বলে জানা যায়৷ খবর দেওয়া হয় কোতুলপুর থানায় (Kotulpur Police Station)৷ খবর পেয়ে পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত দিলীপ দোলুইকে প্রথমে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল (Arambagh Divisional Hospital) ও পরে কলকাতার PG হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত তথা মৃতের ভগ্নিপতি চিন্ময় মালিক ও তার সাগরেদ অভিজিৎ দোলুইকে গ্রেফতার করে৷ যদিও ঘটনার পরই রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা।
ওই ঘটনার পর তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কিত বলেই জানান পরিবারের সদস্যরা৷ তবে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। মৃতের পরিবারের সদস্য কার্তিক দলুই বলেন, “আজ সকালে খবর আসে দিলীপ দোলুই মারা গিয়েছে৷ পরিবারের লোকজনের সাহায্যেই চিন্ময় আর অভিজিৎ দিলীপকে গুলি করেছিল৷ কোতুলপুর থানা দু’জনকে গ্রেফতার করলেও, পরিবারের লোকজন এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ ফলে আমরা আতঙ্কে আছি৷ আমরা অভিযুক্তদের শাস্তি চাই৷” পরিবারের লোকজন ফের তাঁদের আক্রমণ করতে পারে বলে দাবি৷ ফলে তাঁরা নিরাপত্তাহনীতায় ভুগছেন বলেই জানান কার্তিকবাবু৷
মৃতের পিসি ঝর্ণা দলুই কান্না ভেজা গলায় বলেন, “দিলীপকে যারা গুলি করেছে, তার সঙ্গে জড়িত সব অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই আমরা৷” মৃতের পরিবারের সদস্য মৌসুমী দলুই কাঁদো কাঁদো কণ্ঠেই বলেন, “একমাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর আজ সকালে দিলীপদা মারা গিয়েছেন৷ আমরা অভিযুক্তদের ফাঁসি চাই৷” পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীরা অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন৷ এমনকী, তাঁরা নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং আতঙ্কে আছেন বলেও জানান এদিন৷