কোয়েনা দে নামে এক বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, দেবজ্যোতি নিজেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ বলে পাসপোর্টের আবেদনে জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। আদালতের বক্তব্য, এটা যদি সত্যি হয়, তিনি যদি সত্যিই অষ্টম শ্রেণি পাশ হন, তবে কী করে তিনি শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেলেন। দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে সেখান থেকে ৭০ হাজার টাকা করে ভাতা নিচ্ছেন। আদালতের প্রশ্ন, তিনি ভোটে দাঁড়ানোর জন্য স্কুল থেকে কোনও অনুমতি নিয়েছেন কি না, স্পষ্ট নয়। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
দেবজ্যোতি ঘোষদের চক্রের জন্য যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মামলার আবেদনকারী চাকরি পাননি বলে এদিন আদালতে অভিযোগ করেন আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। আদালতের বক্তব্য, ভয়ঙ্কর অভিযোগ করা হয়েছে। এমন একজন কী করে পর্ষদের আপিল কমিটিতে থাকেন! যদিও পর্ষদের আইনজীবী আদালতে জানান, অ্যাডহক কমিটিতে দেবজ্যোতি ঘোষ নেই। আর ওই কমিটিতে না থাকলে আপিল কমিটিতেও কেউ থাকতে পারেন না।
এ দিকে দেবজ্যোতি বলছেন, ‘২০২১-এ পাসপোর্টের আবেদন করলে, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে আমার নামে কেস রয়েছে বলে জানানো হয়। তখন কোর্টে ইনফরমেশন স্লিপ পূরণ করে জানতে পারি, আমার নামে কোনও কেস নেই। থানাও জানায়, আমার নামে কোন কেস নেই। কিন্তু পাসপোর্ট অফিস থেকে সেটা মানেনি। শেষে অ্যাপ্লিকেশন ক্লোজ করে দেওয়া হয়। কয়েকমাস পর দ্বিতীয়বার আমি পাসপোর্টের আবেদন করি। কিন্তু এবারও একই কারণ দেখিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ক্লোজ করে দেওয়া হয়। শেষে আমি আরটিআই করেছি।’
শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘পাসপোর্টের ফর্ম পূরণের সময়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে দশম এবং তার বেশি পাশ বলে উল্লেখ করেছিলাম। ব্যাপারটা সরল করার জন্য। আমি ২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাই। তৃণমূল সরকারের ক্ষমতায় আসার আগে। বামফ্রন্টের আমলে। পাসপোর্টের ফর্ম পূরণে শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে আমার চাকরির বিষয়টি জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা চলছে।’