গত বছরের মতো এ বছরও এই অনুষ্ঠান বেলুড় মঠ (Belur Math) পালন করছে ভোরবেলা থেকেই৷ ভোর চারটে ৪৫ মিনিটে শুরু হয় বেলুড় মঠের অনুষ্ঠান৷ প্রথমে মঙ্গল আরতি হয়৷ এছাড়াও রয়েছে বেদ পাঠ, স্তব গান, ভজন, বিশেষ পুজো, হোম, মাতৃসংগীত, শ্রী শ্রী মায়ের কথা পাঠ, ভক্তিগীতি, গীতিনাট্য, শ্যামা সংগীত, পদাবলী কীর্তন, ভজন, ধর্ম সভা৷ এরপরই হবে প্রসাদ বিতরণ৷ তবে প্রসাদ বিতরণেই ইতি নয় অনুষ্ঠানের৷ এরপরও রয়েছে অনুষ্ঠান পর্ব৷ সন্ধ্যা আরতি ও ভজন দিয়ে শেষ হবে এদিনের মা সারদার জন্মতিথি অনুষ্ঠান।
এই সকল অনুষ্ঠানে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত ভক্তরা৷ কেউ কেউ আনন্দে কেঁদেও ফেলছেন৷ ভক্তদের আনন্দের বারিধারায় মায়ের জন্মতিথির অনুষ্ঠান পালন চলছে বেলুড় মঠে৷ এদিন বেলুড় মঠে আসাটা তাঁদের কাছে বিশাল পাওনা বলে জানাচ্ছেন দর্শনার্থীরা৷ এঁদের মধ্যে অনেকেই জানান, গোটা দিন ধরেই তাঁরা আজ বেলুড় মঠ (Belur Math) প্রাঙ্গণে থাকবেন৷ প্রসাদ নেবেন এবং সন্ধ্যারতি দেখে তবেই বাড়ি ফিরবেন৷
প্রসঙ্গত, গত বছরেও এই দিনটি মহা সমারোহে পালন করা হয়েছিল। কারণ তার আগে দু’ বছর বেলুড় মঠ (Belur Math) বন্ধ ছিল করোনা সংক্রমণের জন্য। তখন কোনও ভক্তবৃন্দই মঠে প্রবেশ করতে পারেননি৷ ফলে গত বছরও এই অনুষ্ঠান পালিত হয়েছিল মহা সমারোহে৷ ভক্তরা দলে দলে এসে যোগ দিয়েছিলেন সারদা দেবীর জন্মতিথি অনুষ্ঠানে৷ সেদিনের তাঁদের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো৷ দু’বছর পর বেলুড় মঠে আসতে পেরে তাঁদের আনন্দের সীমা ছিল না। তবে গত বছর করোনা বিধি মেনে সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷
আর এবছর করোনার ভয়ভীতি কাটিয়ে ভক্তরা নির্দ্বিধায় বেলুড় মঠে মা সারদা দেবীর জন্মতিথি উৎসবে (Ma Sarada Devi Birth Anniversary) সামিল হয়েছেন৷ ফলে করোনার বিধি নিষেধকে দূরে সরিয়ে বেলুড় মঠও যে আবার পুরনো ছন্দে ফিরেছে, তা বলাই বাহুল্য৷