SSKM Hospital : হাত কাটা গিয়েছে? প্রতিস্থাপন এবার পিজিতেই – sskm hospital becomes the first hospital in east india to get license for hand transplantation


এই সময়: পূর্ব ভারতের প্রথম হাসপাতাল হিসেবে হাত প্রতিস্থাপনের লাইসেন্স পেল এসএসকেএম (পিজি)। এ বার থেকে সেখানকার প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ মরণোত্তর হাত প্রতিস্থাপন করতে পারবে। এই পরিষেবা দেশে হাতেগোনা হাসপাতালে মেলে। এ বার মিলবে রাজ্যেও। তা-ও সরকারি পরিষেবা। ফলে ২০-২২ লক্ষ টাকার অস্ত্রোপচার এই রাজ্যে হবে বিনামূল্যে। আবার এই সন্ধিক্ষণেই এসএসকেএমে শুট করা হাত প্রতিস্থাপনের গল্প নিয়ে তৈরি স্বল্প দৈর্ঘের ফিল্ম ‘রোটো’ নির্বাচিত হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। রোটো (রিজিওনাল অর্গ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন) প্রযোজিত ছবিটি তৈরি হয়েছে মরণোত্তর অঙ্গদান নিয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে। ফিল্মের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় চরিত্রের অভিনেতা, দু’জনেই পিজির চিকিৎসক। অতিথি শিল্পী হিসেবে রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়। ভারতীয় শর্ট ফিল্মের প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ছবিটি ১৭-২০ ডিসেম্বরের মধ্যে দেখানো হবে নন্দন, পশ্চিমবঙ্গ অ্যাকাডেমি সভাঘর এবং শিশির মঞ্চে।

SSKM Hospital : কৃষকের অঙ্গে নতুন জীবন পেলেন ৪ জন
পিজি তথা রোটো-র অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাত প্রতিস্থাপনে প্রশিক্ষিত পিজির দল একেবারে প্রস্তুত। ব্রেন ডেথ হওয়া কোনও ব্যক্তির পরিবার হাতের মতো অঙ্গ দানে সম্মতি দিলে এবং প্রস্তাবিত গ্রহীতার সঙ্গে মৃতের রক্তের গ্রুপ ও লিম্ফোসাইট মিললে সম্ভব হবে রাজ্য তথা পূর্বাঞ্চলের প্রথম হাত প্রতিস্থাপন। যাঁদের হাত মসৃণ ভাবে কেটে যায় বা পুড়ে যায়, তাঁদেরই প্রতিস্থাপিত হাতের প্রয়োজন পড়ে। এসএসকেএমের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে এমনই চার রোগী এখন চিকিৎসাধীন।

Organ Donation : মরণোত্তর অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতনতা বার্তা, র‍্যালির আয়োজন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে
চিকিৎসক মহলের একাংশের ধারণা, বিষয়টি অন্যান্য মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো হলেও হাত অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নয়। প্রতিস্থাপনের জন্য তুলে নেওয়ার পর শবের কাটা হাত চোখে পড়ে সহজে। তাই পরিবারের থেকে সম্মতি আদায় তুলনায় কঠিন হতে পারে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছেন রোটো-র যুগ্ম অধিকর্তা তথা এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অর্পিতা রায়চৌধুরী-‘শর্ট ফিল্মে মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে যে ভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে শোকার্ত পরিবারগুলি অঙ্গদানে সম্মতি দেওয়ায় প্রেরণা পাবে।’

Polypharmacy : বয়সকালের বেশি ওষুধে লুকিয়ে বিপদ, নেপথ্যে পলি-ফার্মেসি
মণিময় মনে করেন, মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে যেহেতু বাংলায় এটিই প্রথম সিনেমা, তাই এর সচেতনতামূলক আবেদন অনস্বীকার্য। ছবিটি পরিচালনা করেছেন পিজি-র শল্য চিকিৎসক প্রসেনজিৎ চৌধুরী। মুখ্য চরিত্র অ্যালবার্টের ভূমিকায় পিজি-র প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সৌভিক অধিকারী। সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে, কী ভাবে দুর্ঘটনায় আহত চরিত্র সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়ের ব্রেন ডেথের পর তাঁর মরণোত্তর হাতটি দান করার জন্য পরিবারকে বুঝিয়েছিলেন চিকিৎসক ইমতিয়াজ খানের ভূমিকায় অভিনয় করা আবির। সেই সূত্রেই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অ্যালবার্টের জীবন নতুন করে শুরু হয় পুরোনো ছন্দে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *