দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন কাউন্সিলর চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছেন এবং অন্য একজন কাউন্সিলর তাঁর পরিবারের সঙ্গে বাইরে রয়েছেন, তবুও বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা জানান, এঁরা দু’জনও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন এবং এই অনাস্থা প্রস্তাবে তাঁরাও সই করেছেন। মেদিনীপুরে মিটিংয়ে যাওয়ার আগে খড়্গপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সূর্যপ্রকাশ রাও জানিয়ে দিয়েছেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের ক্ষোভ রয়েছে বলে বুধবার এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল৷ উচ্চ নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে সব জানানো হয়েছে। জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আগামী পর্বে কী হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে,খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘একসঙ্গে সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব নয়৷ ফলে রাগ অভিমান থাকতেই পারে৷ তবে বাইরে বা প্রকাশ্যে না বসে, দলীয় ব্যাপার রাজ্যের নেতা বা আমার সঙ্গে বসে কথা বললেই হত। আমার মনে হয় BJP র চক্রান্ত৷ BJP র মদতেই কেউ বা কারা এসব করছেন।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের একটা ক্ষোভ রয়েছে, এনিয়ে একটি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। তারপরেই জানা যাবে কী হচ্ছে। প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ এক কাউন্সিলর জানান, আজ সন্ধ্যা ৪ টের পরে বৈঠকের পর তাঁরা অনাস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিকে, তৃণমূলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠতেই BJP ময়দানে নেমে পড়েছে। BJP র জেলার মুখপাত্র অরূপ দাসের অভিযোগ, বর্তমান পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে আগে BJP অভিযোগ করত, এখন তৃণমূলের লোকজনই অভিযোগ করছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, প্রদীপ সরকার কাজের কাজ কিছু করেননি। শুধু তোলাবাজি আর স্বজনপোষণে যুক্ত ছিলেন। একসময় যাঁরা প্রদীপের ছায়াসঙ্গী ছিলেন, তাঁরাই আজ প্রদীপের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বৈঠকে উত্তাল খড়্গপুরের রাজনীতি শেষমেষ কী হয়, সেটাই দেখার৷