প্রধান শিউলি খাঁর অবশ্য দাবি, স্বামী ব্যক্তিগত একটি কাজে তাঁর কাছে এসেছিলেন৷ সেই সময়ই হয়তো কেউ ছবিটি তুলে এখন বদনাম করার চেষ্টা করছে। এমনকী, গাড়ির তেল দেওয়ার নামে চক্রান্ত করে তাঁর স্বামীর নাম চেক লেখা হয়েছিল। এখন সেই চেকই পঞ্চায়েত ভোটের আগে ছড়িয়ে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে স্বামী যে নিয়মিত পঞ্চায়েত অফিসে স্ত্রীকে দিতে ও নিতে আসেন একথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধানের স্বামী প্রসেনজিৎ খাঁ। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে স্ত্রীকে দিতে বা নিতে এলেও পঞ্চায়েতের কাজে হস্তক্ষেপ করি না। ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলাম তখনই হয়তো কেউ ছবিটি তুলেছে। আমরা সাদামাটা মানুষ। যাতায়াতের খরচ বাবদ সেই সময় এক আধিকারিক আমার নামে চেকটি দিয়েছিলেন। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছি।”
BJP র বর্ধমান জেলা কমিটির মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “ক্ষমতায় স্ত্রী থাকলেও, তদারকির দায়িত্ব স্বামীই পালন করে। তাঁর নির্দেশেই পঞ্চায়েত পরিচালিত হয়। পঞ্চায়েতে কোনও ঠিকাদার কত টাকার মার্জিনে কাজ পাবেন, তাও প্রধানের স্বামীই ঠিক করে দেন৷ এর থেকে প্রমাণিত হয় যে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে আমরা যে দুর্নীতির অভিযোগ করি, তা কতখানি সত্য।’’ যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কারণে স্বামী তাঁর স্ত্রীর কাছে যেতেই পারেন৷ সেখানে যদি কেউ ছবি তোলেন এভং বিরোধীরা চক্রান্ত করে, তা ভাইরাল করে দেয়, তাতে বলার কিছু নেই৷ পঞ্চায়েতে তদারকির কথাটা মিথ্যা৷ প্রধানের স্বামীর নামে চেক ইস্যু হয়েছে, সেটা কী কারণে তা আগে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হোক। যদি তিনি দোষী হন তাহলে শাস্তি পাবেন৷’’
প্রসঙ্গত, এই পঞ্চায়েতেরই উপপ্রধান জাহাঙ্গির শেখের বিরুদ্ধে আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছিল৷ এরপর আবার প্রধানের নামে অভিযোগ ওঠায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।