অর্ণবাংশু নিয়োগী: ‘বিচারাধীন বন্দিকে নজরে রাখা কি আপনাদের দায়িত্ব নয়?’ লালন শেখের মৃত্যুতে এবার হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির পর্যবেক্ষণ, ‘সিবিআই হেফাজতে একজনের মৃত্যু হল। আত্মহত্যা বলছে, সেটি কি অস্বাভাবিক মৃত্যু? যেকোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রেই FIR জরুরি’।
গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭ জন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। সিবিআই হেফাজতে কীভাবে মৃত্যু? ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার পুলিস। অভিযুক্তরা সকলেই সিবিআই আধিকারিকরা। বাদ যাননি ডিআইজি, এসপি, এমনকী গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তকারীর অফিসার।
আরও পড়ুন: নম্বর রদবদল কি ‘পিসি সরকার সিনিয়র’-এর কাজ? কড়া প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
লালন শেখের মৃত্যুতে সিবিআই-কে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়েছে হাইকোর্টই। তাহলে এবার কেন ভর্ৎসনা? গোরুপাচার মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত। এদিন সেই মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি জয়মাল্য় বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘লালন শেখের মৃত্যুতে গোরুপাচার মামলায় তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। সেকারণেই অনুব্রতকে জামিন দেওয়া উচিত হবে না’। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।
এদিকে গোরুপাচার মামলায় ‘প্রভাবশালী তত্ত্বে’ই ফের খারিজ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির মন্তব্য, ‘শুধু সাক্ষীরা নন, বিচারকও হুমকির শিকার। অন্য় অভিযুক্তদের থেকে অনুব্রত অনেক বেশি প্রভাবশালী, এটা স্পষ্ট’।
গোরুপাচার মামলায় এখন আসানসোল সংশোধানাগের বন্দি অনুব্রত। এর আগে, আসানসোল সিবিআই আদালতেও ‘প্রভাবশালী তত্ত্বে’ই খারিজ হয়ে গিয়েছিল জামিনের আবেদন।