পশ্চিমবঙ্গের মামলায় তাঁকে দিল্লিতে ডেকে বারবার জেরার বিরোধিতা করেছিলেন৷ সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অভিষেককে জেরা করতে হবে কলকাতাতেই৷ একই নীতি প্রযোজ্য হওয়া উচিত অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও।’ সিবালের প্রশ্ন, ‘আসানসোল জেলে বন্দি থাকাকালীন কেন তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে এসে জেরা করা হবে? কেনই বা নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত এই মর্মে রায় দেবে?’
যদিও ইডির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু দাবি করেন, গোরু পাচারের অপরাধের টাকা দিয়েই দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গাজিয়াবাদ ও নয়ডায় বিরাট অঙ্কের টাকার সম্পত্তি কিনেছেন অনুব্রত৷ এই অপরাধে কেষ্টর সঙ্গী ছিলেন এনামুল হক, বিকাশ মিশ্র, সেহগল হোসেনরা। এঁদের সকলকে সুরক্ষা দিতেন কেষ্টই৷ পাল্টা সিবালের দাবি, ‘চিত্তরঞ্জন পার্ক বা গাজিয়াবাদ-নয়ডায় যে সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে অনুব্রতর কোনও সম্পর্ক নেই৷ যে অপরাধের অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, মামলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তা হলে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সেই মামলাকে রাতারাতি দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার নির্দেশ দেয় কী করে?’
সওয়াল-জবাব শেষে আদালত নোটিস জারি করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জবাব তলব করছেন৷ চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব পাওয়ার পরেই দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷ এরই মধ্যে শনিবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বিচারক অনুব্রতর দায়ের করা মামলার শুনানি করবেন৷