Anubrata Mondal : অভিষেকের নজিরে সওয়াল অনুব্রতর মামলায় – anubrata mondal lawyer kapil sibal approached to delhi court raising abhishek banerjee coal smuggling case


এই সময়, নয়াদিল্লি: Delhi High Court ইডির আবেদন সত্ত্বেও কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, এই যুক্তিকে হাতিয়ার করে গোরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে সওয়াল করলেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিবাল। ইডি গোরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। সেই মর্মে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদনও করেছে। এ ক্ষেত্রে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কেষ্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি যশমীত সিংয়ের বেঞ্চে শুনানিতে সিবালের যুক্তি, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পিএমএলএ আইন উদ্ধৃত করে ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন৷

Anubrata Mondal : ‘২০ বছরের কর্মজীবনে এ জিনিস শুনিনি!’, অনুব্রত’র ফাইল দেখে মন্তব্য বিচারকের
পশ্চিমবঙ্গের মামলায় তাঁকে দিল্লিতে ডেকে বারবার জেরার বিরোধিতা করেছিলেন৷ সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, অভিষেককে জেরা করতে হবে কলকাতাতেই৷ একই নীতি প্রযোজ্য হওয়া উচিত অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও।’ সিবালের প্রশ্ন, ‘আসানসোল জেলে বন্দি থাকাকালীন কেন তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে এসে জেরা করা হবে? কেনই বা নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত এই মর্মে রায় দেবে?’

Anubrata Mondal : কেষ্টর কেস ডায়েরি দেখে চমকালেন বিচারক
যদিও ইডির তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু দাবি করেন, গোরু পাচারের অপরাধের টাকা দিয়েই দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, গাজিয়াবাদ ও নয়ডায় বিরাট অঙ্কের টাকার সম্পত্তি কিনেছেন অনুব্রত৷ এই অপরাধে কেষ্টর সঙ্গী ছিলেন এনামুল হক, বিকাশ মিশ্র, সেহগল হোসেনরা। এঁদের সকলকে সুরক্ষা দিতেন কেষ্টই৷ পাল্টা সিবালের দাবি, ‘চিত্তরঞ্জন পার্ক বা গাজিয়াবাদ-নয়ডায় যে সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে অনুব্রতর কোনও সম্পর্ক নেই৷ যে অপরাধের অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই অপরাধ সংগঠিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, মামলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তা হলে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত সেই মামলাকে রাতারাতি দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার নির্দেশ দেয় কী করে?’

Calcutta High Court: সিবিআই কর্তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, লালন মামলায় হাইকোর্টে রক্ষাকবচ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার
সওয়াল-জবাব শেষে আদালত নোটিস জারি করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জবাব তলব করছেন৷ চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব পাওয়ার পরেই দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷ এরই মধ্যে শনিবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিশেষ বিচারক অনুব্রতর দায়ের করা মামলার শুনানি করবেন৷



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *