এরই মাঝে এসে পড়ে গতকাল আসানসোলে (Asansol)কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে প্রাণ যায় তিনজনের। “দুঃখজনক ঘটনা” বলে অনুষ্ঠান সম্পর্কে মন্তব্য করেন দিলীপ। তবে ঘটনাপ্রবাহের শেষে এসে শুভেন্দু বৃহস্পতিবার “শৃঙ্খলা”র পাঠ শেখান। দলের সিনিয়র নেতৃত্বের বিষয়ে মুখ খোলাটা যে আদতে দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙা, সে বিষয়টি পরিষ্কার করে দের তিনি। তাঁর কথায়, “আমার বক্তব্য তৃণমূল কোম্পানির চাকর-বাকরদের বিরুদ্ধে। আমার দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে এখনও কোনও বক্তব্য নেই। ভবিষ্যতেও কোনওদিন থাকবে না। আমি খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ লোক।” উল্টোদিকে, আজ বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতেও দিলীপ ঘোষকে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য শুভেন্দু’র লড়াই নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে দেখা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে।
তবে, বিষয়টি নিয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এক তৃণমূল নেতার কথায়, “ওঁদের মধ্যে যে একাধিক শিবির আছে এটা নতুন নয়। এখন শৃঙ্খলার কথা বলছেন, আগের মন্তব্য করার সময় শৃঙ্খলার কথা মনে ছিল না। আসলে মানুষ বুঝে গিয়েছে, কে কী স্বার্থ নিয়ে চলছে।” আবার অনেকের মতে, সম্প্রতি ডেডলাইন বিতর্ক নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে যেতে হয়েছে বিরোধী দলনেতাকে। তাঁর তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ শোনা গিয়েছিল দলের অন্যান্য নেতৃত্বের মুখেও। দুটি তারিখ পেরিয়ে গেলেও শিরোনামে আসার মতো কিছু ঘটেনি শেষ দুই দিনে। সেক্ষেত্রে দলের দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে এরকম বিবাদমান অবস্থাকে আরও বেশি করে হাতিয়ার করবে তৃণমূল। পঞ্চায়েতের আগে তাতে সমস্যায় পড়তে হবে গেরুয়া শিবিরকেই।