যদিও এই ধরনের ক্যান্সার সার্জারি (Cancer Surgery) মহকুমা হাসপাতালের ন্যূনতম পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত জটিল। রীতিমতো দুঃসাধ্য সাধন করতে নেমে পড়েন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক নীলাদ্রি সেনের নেতৃত্বে সফল অস্ত্রপ্রচার হয় ওই রোগীর। দরিদ্র পরিবারের ওই রোগিনীকে বাঁচাতে পেরে খুশি, চিকিৎসক নীলাদ্রি সেন এবং তাঁর টিম। অস্ত্রোপ্রচারের শেষে অতি দুঃস্থ পরিবারের বছর চল্লিশের ওই রোগিনীর ওভারিতে থাকা প্রায় ১০ সেন্টিমিটার এর একটি ম্যালিগমেন্ট টিউমার বের করতে পেরেছেন চিকিৎসকরা। নূন্যতম পরিকাঠামোয় এরকম সফল চিকিৎসা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নাম গৌরবান্বিত করল বলে মনে করছেন অনেকেই।
সফল অস্ত্রোপ্রচারের পর রোগীর স্বামী সুনীল মুর্মু বলেন, “আমার স্ত্রী অনেকদিন ধরেই বলছিল ওঁর পেটে ব্যথা হচ্ছে। তারপর আমি হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখনই ধরা পড়ল ওর টিউমার আছে। ডাক্তারবাবু জানালেন ওর টিউমার আছে, অপারেশন করতে হবে। অপারেশন সফল হয়েছে, আপাতত ও সুস্থ আছে।” খুশি চিকিৎসক নীলাদ্রি সেনও। তিনি বলেন, “রোগীকে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। তখনই বুঝতে পারি ওঁর ওভারিতে একটি টিউমার রয়েছে। এরপর টিউমারটি পরীক্ষা করে আমরা বুঝেছিলাম এর মধ্যে ক্যান্সারের কোষ আছে। আমরা এরপর সিটি-স্ক্যান করি। এরপর এই হাসপাতালে ওঁর অপারেশন করা হয়। অপারেশন সফল হয়েছে।”
রোগীর জটিল স্বাস্থ্যের কথা জানার পরেও স্থানান্তর করার কোনও বিষয়ে ভাবা হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে তোরজোড় শুরু করে দেওয়া হয় প্রত্যন্ত এই মহকুমা হাসপাতালেই। সব শেষে সফল হয়ে খুশি চিকিৎসকরা। সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পেরে খুশি হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীরাও। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।