দিল্লি হাইোকর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত
দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মর্মেই বুধবার শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টে। অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। অনুব্রতকে যাতে দিল্লি না নিয়ে যেতে হয়, তার জন্য বারবারই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বলকে। সেই মামলার শুনানিতেই বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, এখনই দিল্লি নিয়ে গিয়ে কেষ্টকে জেরা করতে পারবে না ED। পাশাপাশি কোনওরকম প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও ধরানো যাবে না এই তৃণমূল নেতাকে।
কেন আবারও গ্রেফতার কেষ্ট?
২০২১ সালে দল বদলানোর চেষ্টা করায় এক তৃণমূল কর্মীর গলা টিপে ধরে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। এক বছরের পুরনো সেই অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুর থানায় (Dubrajpur Police Station) মঙ্গলবার FIR করেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল। শিবঠাকুরের গলা টিপে শেষ পর্যন্ত হাজতবাস হল অনুব্রতর। তাঁকে আসানসোল জেল থেকে এনে দুবরাজপুর আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় রাজ্য পুলিশ। আদালত অভিযুক্ত নেতাকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের (Police Custody) নির্দেশ দেয়। ফলে আপাতত তিনি আসানসোলেই জেল হেফজতে রয়েছেন। বছরশেষে সেখানেই থাকবেন কেষ্ট। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করার জন্য বীরভূমের দুবরাজপুরের তৃণমূলকর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মঙ্গলবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়।