বিরাট আকৃতির ভালুক হানা দিয়েছিল। আলিপুরদুয়ারে উপস্থিত বুদ্ধিতে প্রাণরক্ষা ছাত্রের।

হাইলাইটস
- সোমবার রাতে অবশ্য চিতাবাঘ নয়, বিরাট আকৃতির ভালুক হানা দিয়েছিল আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের পাগলারহাট এলাকায়।
- বারান্দায় আসতেই ভালুকের সামনে পড়ে যায় ক্লাস নাইনের পড়ুয়া আকাশ দাস।
- উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে চোখের নিমেষে দরজায় খিল এঁটে নিজেকে রক্ষা করে সে।
প্রাণ বাঁচাতে ভালুকটি এরপর আশ্রয় নেয় আকাশদের বাথরুমে। তাঁর বাবা সুনীল দাসের চিৎকার শুনে কয়েকজন যুবক এসে বাথরুমের দরজা বন্ধ করে দেন। তারপর খবর যায় বনদপ্তরে। ততক্ষণে অবশ্য ওই ভালুকের ‘গন্ধ’ পেয়ে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ ভিড় করেছেন সুনীলবাবুর বাড়িতে। ভিড় সরিয়ে ভালুকটিকে বাগে আনতে হিমশিম খেতে হয় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া বেয়ার স্কোয়াডের সদস্যদের। রাত যত বাড়তে থাকে ততই চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ।
শেষ পর্যন্ত রাত দু’টো নাগাদ ঘুমপাড়ানি গুলিতে ভালুকটিকে কাবু করে তোলা হয় বনদপ্তরের গাড়িতে। গাড়িতে তুলতেও কালঘাম ছুটে যায় বনকর্মীদের। কারণ পূর্ণ বয়স্ক ওই এশিয়াটিক ব্ল্যাক বেয়ারের ওজন প্রায় একশো কুড়ি কেজি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ভালুকটিকে সুস্থ অবস্থায় বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিমের জঙ্গলে ছেড়ে দেন বনকর্মীরা। সুনীল দাস বলেন, ‘সে এক রোমহষর্ক অভিজ্ঞতা। ছেলেটা বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছে। তবে বনদপ্তরকে আরও তৎপর হতে হবে। টানা ৬ ঘণ্টা যে কী ভাবে কাটিয়েছি, বলে বোঝাতে পারব না।’ এই নিয়ে গত এক মাসে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫টি ভালুক উদ্ধার করেছে বনদপ্তর। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, ‘লোকালয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভালুক উদ্ধার হচ্ছে। আমরাও সতর্ক রয়েছি। বন লাগোয়া গ্রামবাসীদেরও সাবধানে থাকতে হবে।’
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ