নবান্নে সাগরমেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক রয়েছে। মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ঢল নামবে বলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

হাইলাইটস
- মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ঢল নামবে বলে ধরেই নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
- চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
- বুধবার নবান্নে সাগরমেলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক রয়েছে।
এ দিন মেলার প্রস্তুতির কাজ পরিদর্শনের ফাঁকে সেচমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে লট নম্বর আট থেকে কচুবেড়িয়া ও নামখানা থেকে বেনুবন পয়েন্টে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করা হবে। গঙ্গাসাগর মেলায় আসা তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ উল্লেখ্য, ১০ জানুয়ারি মেলা শুরু। তার ঠিক আগে ২৬ ডিসেম্বর ও ৬ জানুয়ারি দু’টি ভরা কোটালের জেরে সাগরতটে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। তা মাথায় রেখে সেচ দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ৯ থেকে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে সাগরমেলা উপলক্ষে ১০৩ জন মেডিক্যাল অফিসার থাকবেন মেলার বিভিন্ন প্রান্তে। এর মধ্যে ১৮ জন থাকছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এ ছাড়াও প্রয়োজনে অন্যান্য স্বাস্থ্যজেলা থেকে আনা হবে অতিরিক্ত চিকিৎসক। সাগর মেলার পাঁচটি পয়েন্টে থাকছে বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়া, নারায়ণপুর পিএইচসি, বেনুবন, সাগরমেলা প্রাঙ্গণে থাকবে এই কেন্দ্রগুলি।
এ বারেই প্রথম শিশুদের জন্য থাকছে ৫০ শয্যার বিশেষ ইউনিট। এ ছাড়া গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য থাকছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। সংক্রামক রোগীদের জন্য ৬০ শয্যার আইসোলেশান ওয়ার্ড। এর বাইরে কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার-সহ একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সাগরমেলার তীর্থযাত্রীদের জন্য বেড সংরক্ষিত থাকবে। ডায়মন্ড হারবার থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত রাস্তার পাশে একাধিক জায়গায় প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখছে প্রশাসন। সব মিলিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য সাতশোরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এ ছাড়াও থাকছে এয়ার লিফটের সুবিধা।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ