স্থানীয়দের দাবি, আশাকর্মীর নিকট আত্মীয়দের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও নাম বাদ যায়নি। যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে, সেই সমস্ত ব্যক্তির নাম সার্ভে করার পড়েও তালিকায় থেকে গিয়েছে। কিন্তু যাদের কাঁচা বাড়ি, তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারী মালেকা বিবি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর হল সার্ভে করে গিয়েছে আজও ঘর পাইনি৷ স্বামী-স্ত্রীর চাকরি করে এমন ব্যক্তির নাম রয়েছে, আর আমাদের হয়নি৷ আমার ছেলের ১৮ বছর বয়স কেরলে কাজ করে সে ঘর করেছে, কিন্তু আমার কাঁচা বাড়ি৷ এই আশাকর্মী আমার নাম কেটে দিয়েছে৷ আশাকর্মী নিজের আত্মীয়দের নাম রেখেছে৷ আমাদের এলাকায় ৮০-৯০ জনের নাম কেটে দিয়েছে৷ তাই আমরা আশাকর্মীর বাড়ি ঘিরে রেখেছি৷ আমরা ঘর চাই৷’’
আশাকর্মী তহমিনা খাতুন বলেন, ‘‘BDO যেরকম প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন, আমরা সেভাবে সার্ভে করেছি৷ যাদের দোতলা বা পাকা বাড়ি আছে, তাদের নাম কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, সেজন্য বিক্ষোভ দেখাচ্ছে৷ আমার আত্মীয়দের অনেকের ছেলেরা বাইরে কাজ করে ঘর করেছে ঠিকই, কিন্তু তার বাবা-মা একচিলতে ঘরে থাকে, সেক্ষেত্রে বাবার নাম রেখে দিয়েছি৷ তবে শুধু নিজের লোকেদের নাম রেখে দিয়েছি, একথা ভুল৷ আমি নামের তালিকা জমা দেওয়ার পরও, সেখান থেকে নাম বাদ গিয়েছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার নামে আদালতে মামলা করবে, আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে৷ গতকাল রাতে একবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে৷ আবার আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে৷ আমি খুবই আতঙ্কে আছি৷ আমাদের দিয়ে জোর করে সার্ভে করিয়ে নিল৷ এখন আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব না নিলে, কোথায় যাব আমরা?’’