দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে পদত্যাগ করলেও একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন খড়গপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার।

হাইলাইটস
- দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে পদত্যাগ করতে গেলেও একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন খড়গপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার।
- পদস্খলন আদতে যে দলেরই ক্ষতি করল, জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির বিরুদ্ধে সরাসরি সেই বার্তা দিলেন রেলশহরে তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক।
- জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব কোয়ালিটি না দেখে কোয়ান্টিটি দেখেছে বলে উষ্মা প্রকাশ পুরপ্রধানের।
সাধারণ কর্মী এবং ওয়ার্ড কমিটির লোকজন যে আদতে তাঁর সঙ্গে একই অবস্থানে আছেন, সেটাই ঠারেঠরে এদিন বুঝিয়ে দেন প্রাক্তন পুর প্রধান। এদিন পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার আগে প্রদীপ জানান, “আমি সবার সঙ্গে এক টেবিলে বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা না করে কো-অর্ডিনেটর আলাদা করে সবার সঙ্গে বসলেন। তাতে কী লাভ হল? আমাকে ইস্তফা দেওয়ালে উনি ভাবলেন দলের লাভ হবে। লাভ হল না, এতে দলে আরও ক্ষতি হল।” দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে বাধ্য কর্মীর মতো মেনে নিয়ে এদিন তিনি চেয়ার ছাড়লেও, তাঁর বিরুদ্ধে “পেছন থেকে ছুরি মারার” দাবি থেকে এক চুলও অবস্থান বদল করেননি খড়গপুর সদর বিধানসভার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে জয়লাভ করে রেলশহরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন প্রদীপ সরকার। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে সেই আসন পুনরুদ্ধার করে বিজেপি নেতা হিরণ।
উল্লেখ্য, খড়্গপুর পুরসভা (Kharagpur Municipality) নিয়ে সম্প্রতি বেশ টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে । বর্তমান চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন দলেরই কাউন্সিলরদের একাংশ। খড়্গপুর পুরসভায় মোট ৩৫ সদস্যের বোর্ড রয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর রয়েছেন ২৫ জন। জানা গিয়েছে, ২৫ জনের মধ্যে ২০ জন কাউন্সিলরই সই করেছেন চেয়ারম্যানের বিপক্ষে। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে প্রদীপ সরকারকে চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন অজিত মাইতি।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ