গতকাল সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই বিষয়টি জানতে পেরেই বুধবার কলেজে এসে ক্লাস বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হন পড়ুয়ারা। আন্দোলনকারী পড়ুয়া তনুশ্রী ঘোষ বলেন, ‘‘এক শিক্ষক কয়েকজন পড়ুয়াকে নিয়ে গিয়েছেন জলপাইগুড়িতে৷ আমরা কিছুই জানতাম না৷ আমাদের সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে৷ ওনার নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল৷ তাই আমরা ক্লাস বয়কট করেছি৷’’ আন্দোলনকারী পড়ুয়া মৃগাঙ্ক ঘোষ বলেন, ‘‘গতকাল ফেসবুক থেকে জানতে পারি, আমাদের এক শিক্ষক দুর্জয় দেব ১৯ জন পড়ুয়াকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন৷ এমনকী, কলেজ থেকেই তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানতে পারি৷ আজ এনিয়ে দুর্জয় স্যারকে জিজ্রাসা করলে, উনি বলেন, ওনার মনে হয়েছে তাই নিয়ে গিয়েছেন৷ আমাদের সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে৷’’
তবে বালুরঘাট ল’কলেজের বর্তমান ইনচার্জ শান্তনু মৈত্র বলেন, ‘‘ওদের এমনিতেই ক্লাস হচ্ছে না৷ জানুয়ারিতে পরীক্ষা, ফর্ম ফিলআপ হয়ে গিয়েছে৷ দ্রুত নোটিশও দিয়ে দেওয়া হবে৷ এখন শুধু ফার্স্ট সেমিস্টারের ক্লাস হচ্ছে, সেটা হয়েছে এদিনও৷ তাছাড়া এই বিষয়টি কোনওভাবেই কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয়৷ আমরা বলেছি, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে৷ ওদের হয়তো অভিমান হয়েছে৷ সেটা মিটে যাবে৷ তবে কারও সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই৷’’ যদিও এই ঘটনার পেছনে নিজেদের কোন্দল রয়েছে বলেই অনেকের মত৷ কারণ বালুরঘাট ল’কলেজে দু’টি গোষ্ঠী রয়েছে। এই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন অর্পিতা ঘোষ। বর্তমানে এই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। এই দুই গোষ্ঠীর পড়ুয়াদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই সব সময়ই চলে বলে দাবি। এই ক্ষেত্রেও এই লড়াই চলেছে বলেই একাংশের দাবি।