পিঠে তৈরিতে পটু কারিগরদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন মহিষাদলে। এমনকি শ্রেষ্ঠ পিঠে প্রস্তুতকারকদের জন্য রয়েছে পুরস্কারের ব্যবস্থাও।
হাইলাইটস
- বাদশাহী পিঠে, গোকুল পিঠে বা মালপোয়া। নামগুলো শুনলেই জিভে জল আসছে, তাই না! সেটাই স্বাভাবিক।
- পিঠে তৈরিতে পটু কারিগরদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন মহিষাদলে।
- এমনকি শ্রেষ্ঠ পিঠে প্রস্তুতকারকদের জন্য রয়েছে পুরস্কারের ব্যবস্থাও।
কেমন ছিল সেই প্রতিযোগিতা ? আয়োজকদের থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিটি প্রতিযোগীকে সাত পিস করে তিনটি আইটেম তুলে ধরতে হবে। এদিন প্রতিযোগীরা বাদশাহী পিঠে, ঝিনুক পিঠে, শিমুল পিঠে, মালপোয়া পিঠে, নকশা পিঠা, রাঙা আলুর পিঠা, গোকুল পিঠা ইত্যাদি তৈরি করেন। পিঠে তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে চালের গুড়ি, নারকেল গুড়ি, ময়দা, সুজি, নতুন গুড়, দুধ, কেশর, এলাচ, লবঙ্গ ইত্যাদি সামগ্রী। মূল্যায়নের নিরিখে পুরস্কার ছাড়াও সবাইকেই স্মারক সম্মানে উৎসাহিত করা হয়। পাশাপাশি প্রথম পাঁচজনকে ৮০০,৭০০, ৬০০, ৫০০ ও ৪০০ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে। মহিষাদল গনমৈত্রী মাঠে এদিন বিকেল থেকে এলাকার মানুষের ভিড় ছিল দেখার মতো।
এক প্রতিযোগী জানান, বর্তমান সময়ে বাড়িতে শীতের রাতে পিঠেপুলি তৈরির প্রবণতা কমে গিয়েছে। কিন্তু তাম্রলিপ্ত লোক সংস্কৃতি উন্নয়ন সমিতি গত ১৭ বছর ধরে মহিষাদল গণমৈত্রী মাঠে যেভাবে পিঠেপুলি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে, তাতে আবার যেন বাড়িতে বাড়িতে পিঠেপুলি তৈরি শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পেরে ভীষণ খুশি তিনি। চাল বেটে কিংবা মিক্সিতে চাল গুঁড়ো করে, সারা দুপুর নিজের হাতে পিঠে তৈরি করে প্রতিযোগীরা আসেন আসরে। সেগুলিকে কত মনোহারি, কতখানি শিল্পমণ্ডিত ভাবনায় সাজানো যায়, না দেখলে বিশ্বাসই হয় না। প্রতিযোগিতার নিয়ম, পিঠে পরিবেশনায় ঘরোয়া ধাঁচ থাকা বাধ্যতামূলক। সব মিলিয়ে জমজমাট ছিল মহিষাদলের পিঠে পুলি প্রতিযোগিতা।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ