Shantipur News : মৃত্যুর পর ছেলের শবদাহ করতে এগিয়ে এলেন না মা-বাবা, শেষকৃত্যে প্রতিবেশীরা – shantipur youth death none of his family members were attended funeral works


ব্রাত্য, পরিবার থেকেও নেই। মৃত্যুর পরও পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের জন্য পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসেননি বলে দাবি স্থানীয়দের৷ স্থানীয় যুবকের মৃত্যুর পর পুলিশের সহযোগিতায় মৃতদেহ দাহ থেকে শুরু করে সবটাই করলেন বন্ধু ও প্রতিবেশীরা৷ যদিও তাঁর বাবাকে একপ্রকার জোর করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে৷ এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর (Shantipur) হাসপাতাল কোয়ার্টার সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অমিত কুমার মল্লিক (২৬)৷ বন্ধুদের দাবি, তাঁদের কাছে অমিত সৎ মায়ের অত্যাচারের কথা বলেছেন বহুবার। কিন্তু পারিবারিক বিষয় বলে, কেউই কখনও আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেননি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সৎ মায়ের কু চক্রান্তে, দিনের পর দিন মানসিক যন্ত্রণায় ছেলেটির মৃত্যু হল৷ অমিতকে মেরে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি তাঁদের৷ কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত না করায় কোনও প্রমাণই আর অবশিষ্ট নেই।

Abhishek Banerjee Speech: ‘এক ঘণ্টায় দল থেকে বার করব ,দু’ঘণ্টায় প্রশাসনকে বলব ব্যবস্থা নিতে’, শৃঙ্খলা ভঙ্গে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি অভিষেকের
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিতের বাবা অশোক কুমার মল্লিক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী৷ অমিতের বয়স যখন দশ বছর তখনই তাঁর মা মারা যান৷ এরপর অমিতের বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন এবং বর্তমান পক্ষের একটি কন্যা সন্তান আছে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই অমিত সৎ মায়ের লাঞ্ছনা গঞ্জনার শিকার বলেই দাবি স্থানীয়দের৷ অভিযোগ, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এমনকি, ঘরের দরজা বন্ধ করে অমিতকে প্রায়শই মারধর করা হত বলে অভিযোগ৷ প্রতিবেশীরা এ বিষয়ে বলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। এর মধ্যেই স্নাতক হওয়ার পর একটি শপিংমলে কাজ শুরু করেন অমিত।

Fire Incident : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই বসতবাড়ি, আতঙ্ক নদিয়ায়
বন্ধুদের দাবি, বুধবার দুপুরে অমিতের বুকে যন্ত্রণা শুরু হলে, তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Shantipur State General Hospital) ভর্তি করেন তাঁর বাবা। খবর পেয়ে বন্ধুরা হাসপাতালে উপস্থিত হন৷ প্রচণ্ড বুকে যন্ত্রণার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা বললে, অমিতের বাবাকে ফোন করেন বন্ধুরা। তিনি কাজে ব্যস্ত আছেন বলে দায় সারেন। স্থানীয়দের আরও দাবি, শান্তিপুর হাসপাতালে বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ অমিতের মৃত্যু হয়৷ মৃত্যুর খবর জেনেও মৃতদেহ আনতে যায়নি পরিবারের কেউই৷ এরপর বন্ধু এবং প্রতিবেশীরা মিলে মৃতদেহ বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর বাড়িতে আনলে, সৎ মা এবং বাবা পরলৌকিক ক্রিয়াকর্ম করা তো দূর, ন্যূনতম শ্মশানে যেতেও রাজি হয়নি পরিবার৷ উলটে দরজা বন্ধ করে দেন মুখের উপর।

Krishnanagar Sweet Shop : অভিজাত মিষ্টির দোকানের খাবারে ইঁদুর? ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল কৃষ্ণনগরে
এদিন অমিতের মৃতদেহ বাড়ির সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বন্ধু এবং প্রতিবেশীরা। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার (Shantipur Police Station) পুলিশ এসে পৌঁছয়৷ পুলিশের তত্ত্বাবধানে অমিতের বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যায় পুলিশ। এক প্রকার জোর করেই, অমিতের বাবাকে শ্মশানে নিয়ে যায় পুলিশ। মৃতদেহ সম্পূর্ণ দাহ না হওয়া পর্যন্ত শ্মশানেই প্রতীক্ষা করে শান্তিপুর থানার পুলিশ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *