এদিকে, অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করে পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। ক’দিন আগেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে দেন, প্রদীপ সরকারকে খড়্গপুর পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য। সেই কথা প্রদীপ সরকারকে জানিয়ে দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। সোমবার খড়গপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার কলকাতায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেন। দলের নির্দেশ মেনে বুধবার কর্মী-সমর্থক, অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে খড়্গপুর মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ যা কিছু জীবনে পেয়েছি, দলের জন্য পেয়েছি। তবে আমি কারও চাপে পদত্যাগ করছি না। যে ১৮ জন কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে আমার নামে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অনেকে ভালো ভাবে তৃণমূল (TMC) দলটাই করলেন না! দলের উচিত ভালো ভাবে এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা।’ প্রদীপ আরও বলেন, ‘দলের নেতারা (কাউন্সিলার) বিক্রি হয়ে যেতে পারেন, কিন্তু কর্মীরা কখনও বিক্রি হবেন না। সেই জন্যই আজ পদত্যাগ করতে যাওয়ার সময়েও হাজার হাজার কর্মী সমর্থক আমার সঙ্গে এসেছেন। আমরা দলের কর্মী। দলের হয়েই কাজ করবো। দল যা নির্দেশ দেবে, তা মেনে নেব।’ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘দলের নির্দেশে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে প্রদীপকে। দলের নির্দেশ মেনেছেন তিনি। এরপর দল সিদ্ধান্ত নেবে, কাকে চেয়ারম্যান করবে।’
