Soumen Khan TMC : খড়্গপুরের মতো বিদ্রোহ মেদিনীপুর পুরসভাতেও – medinipur municipality 11 councillors gave letter to abhishek banerjee against chairman soumen khan


এই সময়, মেদিনীপুর: খড়্গপুর পুরসভার (Kharagpur Municipality) ছায়া এবার মেদিনীপুরেও! কাউন্সিলারদের ক্ষোভের মুখে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার (Pradip Sarkar) যেদিন পদত্যাগ পত্র জমা দিচ্ছেন, ঠিক সেদিনই পুর-প্রধানের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ অভিযোগের কথা জানিয়ে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) চিঠি দিলেন মেদিনীপুরের ১১ জন কাউন্সিলার। অভিযোগ, পুর-প্রধান সৌমেন খান দলের সমস্ত কাউন্সিলারদের সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পছন্দের এবং অনুগত কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের মর্জি মতো কাজ করছেন। উন্নয়ন মূলক কাজ সমান ভাবে বন্টন করছেন না। এমনকী, পুরসভায় ৩০০ অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে কাউকে না জানিয়েই। ২৫ ওয়ার্ড বিশিষ্ট মেদিনীপুর পুরসভায় ২০টি ওয়ার্ড তৃণমূলের, ৩ টি ওয়ার্ডে সিপিএম, একটি কংগ্রেস এবং একটিতে নির্দল। বিক্ষুদ্ধদের দাবি, তাদের সঙ্গে আরও চারজন রয়েছেন। এই বিষয়ে পুর-প্রধান সৌমেন খানকে (Soumen Khan) ফোন করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি (Ajit Maity)বলেন, ‘এমন খবর আমার কাছে নেই। কোনও কাউন্সিলরের ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা অনাস্থা নয়। আর দল এসব সমর্থনও করবে না।’

Kharagpur Municipality : অভিষেকের কড়া নির্দেশ, ইস্তফা দেবেন খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার
এদিকে, অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে মিছিল করে পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার। ক’দিন আগেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বের কাছে নির্দেশ পাঠিয়ে দেন, প্রদীপ সরকারকে খড়্গপুর পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য। সেই কথা প্রদীপ সরকারকে জানিয়ে দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। সোমবার খড়গপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার কলকাতায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেন। দলের নির্দেশ মেনে বুধবার কর্মী-সমর্থক, অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে খড়্গপুর মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

Pradip Sarkar TMC : ‘দলেরই ক্ষতি হল…’, ইস্তফার আগে মুখ খুললেন খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ
তিনি বলেন, ‘ যা কিছু জীবনে পেয়েছি, দলের জন্য পেয়েছি। তবে আমি কারও চাপে পদত্যাগ করছি না। যে ১৮ জন কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করে দলীয় নেতৃত্বের কাছে আমার নামে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অনেকে ভালো ভাবে তৃণমূল (TMC) দলটাই করলেন না! দলের উচিত ভালো ভাবে এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা।’ প্রদীপ আরও বলেন, ‘দলের নেতারা (কাউন্সিলার) বিক্রি হয়ে যেতে পারেন, কিন্তু কর্মীরা কখনও বিক্রি হবেন না। সেই জন্যই আজ পদত্যাগ করতে যাওয়ার সময়েও হাজার হাজার কর্মী সমর্থক আমার সঙ্গে এসেছেন। আমরা দলের কর্মী। দলের হয়েই কাজ করবো। দল যা নির্দেশ দেবে, তা মেনে নেব।’ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘দলের নির্দেশে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে প্রদীপকে। দলের নির্দেশ মেনেছেন তিনি। এরপর দল সিদ্ধান্ত নেবে, কাকে চেয়ারম্যান করবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *