হাবড়ায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হল খুদে শিল্পীদের সামনে। কর্মশালার আয়োজন করলেন আন্তর্জাতিক চিত্র শিল্পী সমরজিৎ বিশ্বাসের পুত্র।

হাইলাইটস
- ব্যবহারের অযোগ্য নানা জিনিস আমরা ফেলে দিয়ে থাকি।
- একজন শিল্পীর কাছে সেই ফেলে দেওয়া জিনিসও হয়ে ওঠে শিল্পকলা সৃষ্টির ক্যানভাস।
- বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সেই বিষয়টিকেই তুলে ধরা হল খুদে শিল্পীদের সামনে।
আর এই অনন্য ভাবনার মধ্যে দিয়ে শিশুমনে বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি শিল্প চেতনাকে আরও ছড়িয়ে দিতে নতুন প্রজন্মের কাছে উদ্যোগ নিয়েছেন শিল্পী শুভ্জিৎ বিশ্বাস। প্রয়াত বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে কোনও লৌকিকতাকে আমল না দিয়ে ছেলে শুভজিৎ বিশ্বাস বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী শিল্প ভাবনার এই কর্মশালার মধ্যে দিয়ে এক অভিনব বার্তা তুলে ধরতে চেয়েছেন। এ বছর অনুষ্ঠিত কর্মশালায় তিনি কাঁচের বোতলের ওপর কীভাবে ছবি আঁকতে হয়, সেই শিক্ষা দেন কচিকাচাদের। প্রায় ৫০ জন শিল্পীর হাতে এদিন ফেলে দেওয়া কাঁচের বোতল হয়ে উঠল রঙিন। খুদেদের হাতের কাজ দেখতে ভিড় জমালেন আশপাশের মানুষজনও। খুদেদের শৈল্পিক চিন্তাভাবনার প্রসারের জন্য খুশি অভিভাবকরাও। প্রয়াত সমরজিৎ বিশ্বাস ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের চিত্রশিল্পী৷ তাঁর ছবি শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বহুবার প্রশংসিত হয়েছে৷ শিল্পী সমরজিৎ বিশ্বাস চাইতেন হাবরার কুমরো কাশিপুরের প্রতিটি নতুন প্রজন্মের চোখে যেন থাকে শিল্পের ছোঁয়া৷ ছেলেকেও চেয়েছেন একজন প্রকৃত চিত্রশিল্পী হিসেবে গড়ে তুলতে৷ বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী শুভ্রজিৎও চিত্রশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ইতিমধ্যেই গোল্ড মেডেল পেয়ে এম ফাইন কমপ্লিট করে তিনি ছবি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন৷
বাবার পথ অনুসরণ করেই শিল্পীর ছেলে শুভজিৎ তাঁর গ্রামের বাড়ি কাশিপুর এলাকার প্রতিভাবান শিল্পীদের নানান ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে কিভাবে শিল্পের ছোঁয়ায় তাঁকে অনন্য রূপ দেওয়া যায় তারই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রথাগত ছবি আঁকার শিক্ষার বাইরেও এ ধরনের শিল্পচর্চা বাড়তি আকর্ষণ যোগাচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন অভিভাবকরাও। কাঁচের বোতলের উপর ছবি আঁকতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছোট ছোট শিল্পীরাও।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ