Child Marriage : বাল্য বিবাহ আটকাতে মাইকে প্রচার শিক্ষকের – west medinipur school teacher took initiative to stop child marriage


বাল্য বিবাহ আটকাতে মাইকে প্রচার মহারাজপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ দত্তের।

 

Child Marriage
বাল্য বিবাহ

হাইলাইটস

  • লক্ষ্য বাল্যবিবাহ রোধ।
  • গাঁটের পয়সা খরচ করে হ্যান্ড মাইক কিনে গ্রামে গ্রামে প্রচার করছেন এক শিক্ষক।
  • মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের মহারাজপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ দত্ত প্রায় প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে মাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এলাকায়।
এই সময়, মেদিনীপুর: লক্ষ্য বাল্যবিবাহ রোধ (Child Marriage)। গাঁটের পয়সা খরচ করে হ্যান্ড মাইক কিনে গ্রামে গ্রামে প্রচার করছেন এক শিক্ষক। মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের মহারাজপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুভাষ দত্ত প্রায় প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে মাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েন এলাকায়। কখনও রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে, কখনও দাঁড়িয়ে, নাবালিকা বিয়ের কুফল নিয়ে সচেতন করেন গ্রামবাসীদের। কয়েক মাস ধরে এমন কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন মহারাজপুর এলাকার বাসিন্দারা। প্রধান শিক্ষকের এই উদ্যোগ দেখে তাঁর সঙ্গী হয়েছেন দু’জন পার্শ্ব শিক্ষক। কয়েক জন ছাত্রছাত্রী এবং এলাকার কিছু লোক।

Child Marriage : নারীপাচার-বাল্যবিবাহ রুখতে বিশেষ উদ্যোগ ক্যানিং জেলা প্রশাসনের
হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? শিক্ষক সুভাষ দত্ত বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্কুল খোলার পরে দেখি একসঙ্গে ৫৫ জন পড়ুয়া স্কুলছুট। হঠাৎ কেন কমে গেল পড়ুয়ার সংখ্যা? খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ৫৫ জনের মধ্যে ২৭ জন ছাত্রী। তাদের অধিকাংশেরই ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে পরিবার। গ্রামে সচেতনতার অভাব রয়েছে বুঝেই বাল্যবিবাহ রোধে প্রচার শুরু করি। খালি গলায় আর পারছিলাম না। তাই একটা হ্যান্ড মাইক কিনেছি।’ তিনি বলেন, ‘কেউ পড়াশোনা ছেড়ে কাজে চলে যাচ্ছে। কেউ বিয়ে করে নিচ্ছে। এই সব কারণেই সুযোগ পেলে বেরিয়ে পড়ছি। তবে এখন আর একা নয়। সঙ্গে পার্শ্ব শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, এলাকার লোকজনও বেরোচ্ছেন। ভালোই লাগছে। কিছু মানুষকে সচেতন করতে পারলে সেটাই হবে বড় আনন্দের।’

Child Marriage: বাল্যবিবাহ রোধে অভিনব উদ্যোগ পশ্চিম মেদিনীপুরে, স্কুলে স্কুলে খুলছে ‘বন্ধু মহল ক্লাব’
সকলের মূল লক্ষ্য, স্কুল এলাকার আশপাশের গ্রামে যেন নাবালিকার বিয়ে বন্ধ হয়। সেটা করতে গেলে, মানুষকে সচেতন করতে হবে। না-হলে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন পার্শ্ব শিক্ষকরা। এর আগে কেশপুরের গোলাড় সুশীলা হাইস্কুলে এক পড়ুয়া বিয়ের পিড়িতে বসে যাওয়ার পরেও সেখানে হাজির হয়ে যাওয়া কন্যাশ্রীর সদস্যরা অবস্থান-আন্দোলনের হুমকি দিয়ে তাকে তুলে আনতে সক্ষম হয়। এমনকী, স্কুলেও ফেরত নিয়ে যাওয়া হয় সেই নাবালিকাকে। প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র পড়িয়ার কথায়, ‘যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছিল ছাত্রীর সেখানে গিয়ে কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা চেঁচামেচি করলে শেষ পর্যন্ত স্কুলের পোশাকে বাইরে বেরিয়ে আসে ওই ছাত্রী।’ শুধু এই একটা ঘটনা নয়, আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই পড়ুয়ারা অনেক নাবালিকার বিয়ে আটকাতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু কোনও শিক্ষক একক উদ্যোগে এমন কাজ করছেন তা সম্ভবত এই প্রথম।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *