আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা। তারপরই বড়দিনের উৎসব। ক্রিস মাস ট্রি আর রংবেরঙের আলোয় সেজে উঠছে চতুর্দিক। তবে বড়দিনের আনন্দ (Christmas Day) মানেই যে রকমারি কারুকার্যে ভরা কেকের সম্ভার তা বলাই বাহুল্য। জিঙ্গেল বেল সহযোগে স্যান্টার আগমণ মানেই কোথাও যেন উঁকি মারে নস্টালজিয়া। জানান দেয় বড়দিন এসেছে। আর বড়দিন উৎসবের আনন্দ মানেই তো কেক থাকবেই মেনুতে। হরেক রকম কারুকার্য শোভিত রকমারি স্বাদের কেক না হলে ঠিক জমে না। তাই বছরের এই সময়টাতে কেকের চাহিদা বহুগুণ বেড়ে যায়। আর সেই চাহিদার উপরে ভরসা করেই লক্ষ্মীলাভের আশায় বুক বাঁধেন বিক্রেতারা।
বিগত ২ বছর করোনার কারণে সেভাবে বড়দিন উৎসব (Christmas Day) পালিত হয়নি। তবে এবছরে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবেই সেলিব্রেশন হতে চলেছে বড়দিন। ফলত কেকের বাজার জমে উঠেছে রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরেও। শহরের শিলিগুড়ি মোড় থেকে শুরু করে বিদ্রোহী মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন দোকান গুলিতে বিক্রি হচ্ছে বাহারি কেক। অনেকেই রাস্তার ধারে অস্থায়ীভাবে কেকের পসরাও বসিয়েছেন। তবে বেকারির কেকের পাশাপাশি উৎসবকে আরও স্পেশাল করে তুলতে রকমারি কেকের প্রতি মানুষের আকর্ষণ থাকে বেশি। তাই সেই চাহিদা পূরণ করতে বিভিন্ন দোকান গুলিতে চলছে কেক প্রস্তুত পর্ব। স্যান্টা, ক্রিস মাস ট্রি, কিংবা ড্রাই ফ্রুট, ব্ল্যাক ফরেস্ট, হোয়াইট ফরেস্ট কেক তৈরি করছেন কারিগররা। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মানুষের সু-স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে চলছে কাজ।
কেক প্রস্তুকারক সুজন বর্মন বলেন, সারা বছর কেকের চাহিদা টুকটাক থাকলেও বছরের এই সময়টায় কাজ বেড়ে যায়। আকর্ষণ বাড়াতে অভিনব কেক তৈরিতে যথেস্ট উৎসাহ পান তাঁরা। কেক বিক্রেতা সুমন দে বলেন, “বিশেষ, বিশেষ আকর্ষণীয় কেকের প্রতি ঝুঁকছেন মানুষ। তাই তাঁদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কেক তৈরি করে তা তুলে দেওয়া হচ্ছে সাধারন মানুষের হাতে।” ব্যবসা ভালো হচ্ছে বলে দাবি বিক্রেতার। অন্যদিকে, লোভনীয় কেক কিনতে দোকানে দোকানে ভিড় জমিয়েছে আট থেকে আশি সকলেই। শুধু শহর নয় পার্শবর্তী এলাকা থেকেও কেক কিনতে রায়গঞ্জ (Raiganj) আসছেন উৎসবপ্রেমী মানুষ।