জেতার পর এক TMC সমর্থক বলেন, “এই জয় প্রমাণ করে দেয়, এই অঞ্চলের বিধায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এতে কোনও সন্দেহ নেই। তাঁর মত এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পথ অনুসরণ করে নন্দীগ্রামের মানুষ আবার সন্মান পুনরুদ্ধার করেছে।” যদিও এদিনের নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। শুক্রবার সকাল থেকে নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়া সমবায় সমিতি (Bheturia Co Operative Society) নির্বাচন বুথ কেন্দ্রে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকলেও BJP বহিরাগত ঢোকাচ্ছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূলের কর্মীরা। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহিরাগত লোক আনার অভিযোগ করে BJP। দু’পক্ষের অভিযাগকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ (Nandigram Police Station) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু’পক্ষের কয়েকজন আহত হয় বলে খবর।
সকাল থেকেই নির্বাচনকে ঘিরে গোটা এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল, BJP যুযুধান দুই পক্ষই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে সকাল থেকেই। বেলা বাড়তেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তৃণমূলের অভিযোগ, BJP যে করেই হোক, এই সমবায় নির্বাচন জোর করে জিততে চাইছে। নির্বাচনে গোলমাল বাঁধানোর কারণে বহিরাগত লোক নিয়ে আসছে। নির্বাচনী প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল তৃণমূলের। অন্যদিকে, BJP-র পালটা অভিযোগ, তৃণমূল বাইরে থেকে লোক এনে বিজেপির উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। সমবায় সমিতির মোট ১২ টি আসনে প্রার্থী দেয় উভয় পক্ষই। শেষে প্রত্যেকটি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থীরা।
যদিও এই নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “জনৈক আব্দুল সামাইকার নেতৃত্বে আমদাবাদের কুখ্যাত গুন্ডা কাজাহার রোশনদের নিয়েছে. যা যা করার তাই করেছে। কোথাও কোথাও প্রতিরোধ হয়েছে। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। আর পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।”