মালদায় হুমকির ভয়ে আশা ও অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা আবাস যোজনার সমীক্ষার দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন। ভীতি কাটাতে তাঁদের সঙ্গেই সমীক্ষার কাজে মাঠে নেমেছেন জেলাশাসক, মহকুমাশাসক-সহ প্রশাসনের কর্তারা। ফলে সমীক্ষায় গতি এসেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সমীক্ষার পর তালিকায় নাম থাকলেই তা চূড়ান্ত মনে করার কারণ নেই। পঞ্চায়েতের প্রতিটি সংসদে গ্রামসভার বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে সাধারণ মানুষের মতামত নিয়েই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হবে। মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘সমীক্ষার কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু কাজ বাকি থাকায় এখনই চূড়ান্ত তালিকা জানানো যাবে না। তবে প্রচুর অযোগ্যের নাম বাদ পড়েছে।’
হাওড়া জেলাতেও তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রচুর নাম। সম্প্রতি ওই জেলার উপভোক্তাদের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে মোট আবেদনের এক তৃতীয়াংশ বাদ গিয়েছে। সংখ্যার হিসেবে তা প্রায় ৬০ হাজার। হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন পাল বলেন, ‘মোট ১ লক্ষ ৮২ হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। ওই উপভোক্তাদের প্রথম তালিকায় নাম ছিল। এর মধ্যে ৬০ হাজার নাম বাদ গিয়েছে।’
পাশাপাশি তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ১ নম্বর ব্লকের হরিহরপুর পঞ্চায়েতে। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান বঞ্চিত ঘর প্রাপকরা। উস্তি-মগরাহাট রোড অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সমীক্ষার আগে তাঁদের তালিকায় নাম ছিল। তবে নতুন তালিকায় তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যর অভিযোগ, সমীক্ষার পর তালিকা থেকে গরিব মানুষের নাম কেটে তৃণমূল নেতারা তাঁদের আত্মীয়দের নাম নতুন তালিকায় ঢুকিয়েছেন।
আবাস যোজনার তালিকায় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে মিনাখাঁর চৈতল পঞ্চায়েতের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী ও বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যোগ্যদের বাদ পড়েছে। বদলে তালিকায় ঢোকানো হয়েছে এলাকার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের নাম।