Pradhan Mantri Awas Yojana : সময় বেঁধে প্রমাণ চেয়েছেন মন্ত্রী, ফাঁপরে বঙ্গ-বিজেপি – giriraj singh rural development minister wants all proofs of bjp leaders allegations against pradhan mantri awas yojana


মণিপুষ্পক সেনগুপ্ত
শুধু নালিশ নয়, দরকার প্রমাণ! বঙ্গ-বিজেপির নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh)। তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার জন্যে বেঁধে দিয়েছেন সময়ও। রাজ্য বিজেপি দপ্তরে তাই এখন তৎপরতা তুঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) তালিকা নিয়ে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ, সমস্যা তৈরি হয়েছে। রাজ্য বিজেপির নেতাদের অভিযোগ, গরিবদের বঞ্চিত করে ব্লকস্তরের তৃণমূল নেতারা যোজনার টাকা গায়েব করছেন। যদিও তা নিয়ে জেলাস্তরে বিজেপি সে ভাবে আন্দোলন সংগঠিত করতে পারেনি। সম্প্রতি এই যোজনার তালিকা নিয়ে অভিযাগ জানাতে দিল্লিতে গিরিরাজের কাছে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু অভিযোগ জানালেই চলবে না, নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ চাই। তবেই কঠোর পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তথ্য-প্রমাণ-সহ তালিকা পাঠাতে বলেছেন গিরিরাজ।

PM Awas Yojana : আবাস যোজনায় ভুরি ভুরি অভিযোগ, ২০১৮-র তালিকা বাতিল করার দাবি
গোল বেধেছে সেখানেই। কারণ, আবাস যোজনায় অনিয়মের তালিকা তৈরিতে যে শক্তিশালী সংগঠন প্রয়োজন, তা এ রাজ্যে বিজেপির নেই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ঠিক যে কারণে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও বঙ্গ-বিজেপি (BJP) তা নিজেদের রাজনৈতিক ভিত শক্ত করার কাজেও ব্যবহার করতে পারেনি। নদিয়ার এক বিজেপি পদাধিকারীর কথায়, ‘আমাদের জেলায় আবাস যোজনার টাকায় তৃণমূল নেতারা (TMC) বাড়ি তৈরি করেছেন। বিরোধী হিসেবে সেই সব বাড়ির সামনে আমাদের ধর্নায় বসে যাওয়া উচিত। কিন্তু সাংগঠনিক ব্যর্থতায় কিছুই হয়নি।’ রাজ্য বিজেপির এক বর্ষীয়ান নেতার আক্ষেপ, ‘কথায় কথায় দিল্লি ছোটাই আমাদের কাল হয়েছে। সুকান্ত-শুভেন্দুরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে দরবার না করে যদি জেলায় জেলায় ঘুরে আবাস যোজনা ইস্যুতে আন্দোলন করতেন, তা হলে রাজনৈতিক ভাবে বেশি লাভ হতো।’

Pradhan Mantri Awas Yojana : নিজে আবাস যোজনায় চোখ রাখবে কেন্দ্র
অনিয়ম খুঁজে বের করতে হলে সুকান্তদের মাঠে নামাতে হবে দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের। কিন্তু এই মুহূর্তে রাজ্যের চল্লিশ শতাংশেরও বেশি বুথে বিজেপির কমিটিই নেই। বহু মণ্ডল কমিটিও নিষ্ক্রিয়। জেলাস্তরের নেতারা কোন্দলে ব্যস্ত। এ রকম নড়বড়ে সংগঠন নিয়ে সুকান্ত-শুভেন্দুরা কী ভাবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রমাণ-সহ তালিকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে সময়েই তালিকা পৌঁছবে বলে দাবি করে সুকান্তর বক্তব্য, ‘গরিবরা আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছেন না। তৃণমূল নেতারা সেই টাকায় দোতলা বাড়ি তিনতলা করছেন। আমরা প্রমাণ-সহ সেই সব অনিময়ের তালিকা তৈরি করছি। দলের বিধায়ক, সাংসদ এবং সাংগঠনিক নেতারা সবাই অনিয়মের তালিকা তৈরির কাজে সামিল হয়েছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *