শুক্রবার বিকেলে ঘটনটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জের (Raiganj) খরমুজাঘাট রোড এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পথকুকুরের তাড়া খেয়ে গত দু’দিন আগে নারকেল গাছে উঠে পড়ে বেড়ালটি। ভয়ে সেখানেই বসে থাকে সে। খাবার না পেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে বিড়ালটি। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় কাউন্সিলর দমকলকেন্দ্রে খবর দেন। ল্যাডার সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু গাছটির উচ্চতা বেশী থাকায়, বিড়ালটিকে উদ্ধার করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় তাদের। তবে দীর্ঘ চেষ্টার পর গাছ থেকে বেড়ালটিকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা।
এদিকে বিড়াল উদ্ধারের খবর পেয়ে ছুটে আসেন পশুপ্রেমী সংস্থার (Animal Saving Organization) সদস্যরা। উদ্ধার হওয়া বেড়ালটির প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয়। শেষপর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় বেড়াল ছানাটিকে উদ্ধার করতে পেরে খুশী সকলেই।
প্রসঙ্গত, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল শহর কলকাতাও (Kolkata)। ৪ দিন ধরে নির্মীয়মাণ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রোর ৮৫ এবং ৮৬ নম্বর পিলারের মাঝে আটকে পড়েছিল বিড়ালটি। বিষয়টি নজরে পড়ে মুকুন্দপুরের একটি মলের কর্মীর। তিনিই ব্যাপারটি জানান পঞ্চসায়র এলাকার বাসিন্দা পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত সুবর্ণ গোস্বামী নামে এক ব্যক্তিকে। প্রথমে বিড়ালটিকে উদ্ধার করার আবেদন জানিয়ে দমকলে ফোন করেন ওই পশুপ্রেমী। উপরমহলের নির্দেশ ছাড়া দমকল এই উদ্ধারকাজ চালাতে পারবে না তাঁকে জানানো হয়। এরপরেই বন দফতরের (Forest Department) সঙ্গে যোগাযোগ করেন পঞ্চসায়রের ওই বাসিন্দা। শেষে বিফল হয়ে বাধ্য হয়ে তিনি দ্বারস্থ হন লালবাজারের।
খবর মিলতেই বিড়াল ছানাটিকে উদ্ধারের উদ্যোগ নেয় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। রাতের অন্ধকারে বিড়ালটিকে উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও, সারারাত ঘটনাস্থলেই ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। ভোরের আলো ফুটতেই বিড়ালটিকে নামিয়ে আনা হয়। দিনের পর দিন ওই পিলারে আটকে থেকে মারাত্মক ভয় পেয়ে গিয়েছিল ছানাটি। ছেড়ে দেওয়া মাত্র অবশ্য ক্লান্তি গায়েব। একছুটে পগার পার হয় সে।