দুর্ঘটনার জন্য সামনে কন্ট্রেনারকেই দায়ি করেছেন বাসযাত্রীরা। নির্মল ঘোষ নামে এক বাস যাত্রী জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের (Singur) রতনপুরের কাছে হঠাৎ কন্ট্রেনারটি বাসটির সামনে চলে আসে। বারবার বাসচালক হর্ন দিলেও, কন্ট্রেনারটি জায়গা দেয়নি। এরপর হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায় সেটি। বাসের চালক ব্রেক কষলেও, বাসের গতি বেশি থাকায় কন্ট্রেনারটিকে ধাক্কা মারে। ধাক্কার বাসের সামনের কাঁচ ভেঙে যায়।
কন্ট্রেনারটির চালক মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিল বলে দাবি করেছেন বাসের কন্ডাকটর রাজু দাস। বারবার হর্ন দেওয়ার সত্ত্বেও, সেটি ডান দিকে সরে দাঁড়ানোয় অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছিল। ধাক্কা না মারলে, বাসটি পাশের নয়নজুলিতে পড়ে যেত বলেও দাবি করেছেন বাসের কন্ডাকটর। দুর্গাপুর জাতীয় সড়কে বাস দুর্ঘটনায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সিঙ্গুর থানার পুলিশ (Singur Police Station)। দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাস ও কন্ট্রেনারকে সরিয়ে নেওয়ার পর, জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তিদের সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলাও রয়েছে। অধিকাংশের মাথা, মুখে চোট লাগে। জখমদের মধ্যে চার জনের আঘাত গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সপ্তাহের শেষ বাড়ি ফিরছিলেন কালনাগামী (Kalna) বাসের যাত্রীরা। মাঝ রাস্তায় দুর্ঘটনার জেরে চরম বিপদের মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। যাত্রীদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশই বিকল্প বাসের ব্যবস্থা করে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা ঘটে কেশপুর-মেদিনীপুর রাজ্য সড়কে। মারুতি ও যাত্রীবাহি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন মারুতির ২ আরোহী। কেশপুর থানা এলাকার পঞ্চমীতে ঘটনার জেরে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।