
রাজ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। স্বচ্ছ নয় নিয়োগ, এমন ৯৫২ জন প্রার্থী চিহ্নিত হওয়ার পর তাদের নাম প্রকাশের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে ৯৫২ জন প্রার্থীর বিশদ পরিচয় ও ওএমআর শিটের কপিও প্রকাশিত হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে। সেখানেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাদা খাতা জমা দিয়েও নম্বর পেয়ে স্কুলে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন একাধিক প্রার্থী। ওই তালিকাতেই দেখা যায়, কণিকা বর্মনের নাম। এই কণিকা দেবী ইন্দিরা গার্লস স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। ওই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কণিকা বর্মন প্রথম দিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ হাইস্কুলে চাকরি করতেন। তিন বছর আগে মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে যোগ দেন। তারপর থেকে সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভুয়ো শিক্ষক -শিক্ষিকার তালিকায় ওই নাম উঠে আসায় হইচই পড়ে গিয়েছে।
তালিকায় নাম বেরনোর পর থেকেই বেপাত্তা শিক্ষিকা। আসছেন না স্কুল। যদিও স্কুলের তরফে এই তালিকা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা রায় বসুনিয়া বলেন, বিষয়টি জানা নেই। আমাদের কাছে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। আপনাদের কাছেই প্রথম জানলাম। ওই শিক্ষিকা গত কয়েকদিন ধরে স্কুলে আসছেন না।’
জানা গিয়েছে,প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (TMC Ex Minister Paresh Adhikari) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita A) নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন ববিতা সরকার নামে এক চাকরি প্রার্থী। হাইকোর্টের নির্দেশে চলতি বছরের ২০ মে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত হন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা অঙ্কিতা অধিকারী। তাকে তার বেতনও ফেরত দিতে হয়। তিনি মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা গার্লস স্কুলে চাকরি করতেন। অঙ্কিতার চাকরি বরখাস্তের পর সেখানে চাকরি মেলে ববিতা সরকারের। এই ঘটনায় ফের শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্য। শিক্ষক দুর্নীতিতে অযোগ্য প্রার্থীকে সরিয়ে যোগ্য প্রার্থীর চাকরি পাওয়ার নজির ঘটেছে রাজ্যের এই স্কুলেই। এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ৯৫২ জনের নাম ও OMR শিট প্রকাশ করে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।