পুরুলিয়ার বরাবাজারের বাসিন্দা নিশীথ হুকাবর্দার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দেহরক্ষী পদে বাঁকুড়ায় কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাতে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ফটকগোড়ায় তাঁর রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে দুর্গাপুরের (Durgapur) একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এদিন ময়নাতদন্তের পর জেলা পুলিশ লাইনে প্রয়াত পুলিশ কর্মী নিশীথ হুকাবর্দার মরদেহ আনা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। পথ দুর্ঘটনার ফলে রাস্তাতেই গুরুতর আহত হন ওই পুলিশ কর্মী। রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দুর্গাপুরের (Durgapur) বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। ভেঙে পড়েছেন তাঁর সহ কর্মীরাও।
গত সেপ্টেম্বর মাসে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের (Lalbazar Detective Department) এক কনস্টেবলের। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় লাগার জেরে ঠাকুরপুকুর থ্রি-এ বাসস্ট্যান্ডের কাছে গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন কলকাতা পুলিশের কর্মী প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর মাথায় এবং মুখে গুরুতর চোট লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, রাত ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ ডিউটি সেরে সারদা পার্ক এলাকায় তাঁর বাড়ি ফেরার পথেই এই আঘটন ঘটে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর হাওড়া রাণীহাটির কাছে এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটে (Road Accident)।
এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী সহ তিনজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। আহতদের হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মীরও মৃত্যু হয়। সিভিক ভলান্টিয়ার অরিন্দম বিশ্বাস ও পুলিশ আধিকারিক উজ্জ্বল জানা দুর্ঘটনায় মৃত হন।
