বড়দিন (Christmas Day) উপলক্ষ্যে এদিন বেলুন, ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় গির্জাটি। এ বছর যিশুখ্রিস্টের জন্মের সময়ের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে গোসালা তৈরি করা হয়েছে চার্চের ভিতর। সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। সকাল থেকেই শুরু হয় প্রার্থনা। উল্লেখ্য, শ্রীরামপুরে একসময় ছিল ডেনমার্কের উপনিবেশ। আঠেরো শতকের একটা অংশ জুড়ে এই শহরের রাজ্যপাট ছিল ডেনিসদের দখলে। ১৮০০ সালে প্রোটেস্ট্যান্ট নাগরিকদের জন্য সেন্ট ওলাভ গির্জার কাজ শুরু হয় শ্রীরামপুরের (Serampore) তৎকালীন গভর্নর ওলি বি-র সময়। একটি সভাঘর এবং একটি বেদি রয়েছে এই গির্জায়। পরবর্তীকালে শ্রীরামপুর কলেজ কর্তৃপক্ষ গির্জাটি তত্বাবধানের দায়িত্ব পায়।
২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ‘বিপজ্জনক ভবন’ ঘোষণা করে গির্জাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ডেনমার্ক এ রাজ্যের হেরিটেজ কমিশন এবং রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে একটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়। সেই অনুযায়ী এই শহরের ডেনিস আমলের স্থাপত্যগুলি পুরনো চেহারা বজায় রেখে আমূল সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়। গির্জাটি ১৪ হাজার বর্গফুট জমিতে। গোটা ভবনটিই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। ছাদের বিম উইপোকা নষ্ট করে দিয়েছিল। দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছিল। ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর এই স্থাপত্য পুনঃসংস্থাপনের কাজের সূচনা হয়। সংস্কারের কাজে ২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
গির্জায় প্রার্থনাকালীন এদিন অন্য ভূমিকায় দেখা যায় শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Kalyan Banerjee)। শ্রীরামপুরের একটি চার্জে গিয়ে সেখানে শিশুদের মধ্যে কেক ও চকলেট বিলি করেন সাংসদ। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের হাতেও তুলে দেন কেক। পরে একটি মাদার টেরিজার মূর্তি উদ্বোধন করেন তিনি। চার্চের ভেতরে প্রবেশ করে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করতে দেখা যায় সাংসদকে। এদিন কল্যাণ বলেন, চার্জে এসে বাচ্চাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটালাম। অন্যভাবে থাকাটা একটু দরকার।