মন্দিরটির ইতিহাস…
বেহালার ৪০০ বছর পুরনো এই জয়চণ্ডী ঠাকুরানি মন্দির প্রায় সাত বিঘা জমির উপর অবস্থিত। শহর কলকাতার অন্যতম প্রাচীন মন্দির হিসেবে তা বিবেচিত হয়। শহরের মধ্যেই বেশ কিছুটা নিরিবিলি এই জায়গা। মন্দিরের পাশে প্রায় দু’বিঘা জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে একটি জলাশয়। জানা গিয়েছে, এই মন্দিরটির আশেপাশের একালায় একসময় জঙ্গলে ভর্তি ছিল।
কয়েক বছর আগে তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। স্থানীয় কাউন্সিলর তারক সিংয়ের উদ্যোগে সেখানে বৈষ্ণোদেবী মন্দির তৈরি করা হয়। কথিত আছে, একসময় এই মন্দিরের পাশ দিয়ে আদিগঙ্গা বয়ে যেত। মনসামঙ্গল কাব্য প্রসঙ্গও এক্ষেত্রে উল্লেখিত হয়ে থাকে। লোকমুখে প্রচলিত, এই জয়চণ্ডী মন্দিরে পাশ দিয়ে একসময় আদি গঙ্গা বইত এবং সেই সময় বেহুলা ভেলায় করে লখিন্দরকে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই মন্দিরে প্রতিদিন বহু ভক্তদের সমাগম হয়। পুজো দেন তাঁরা।
নতুন এই উদ্যোগের ফলে দেশের সমস্ত প্রান্তের ভক্তদের কাছেই এই মন্দিরের ঠিকানা পৌঁছে যেতে চলেছে। এদিকে কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং বলেন, “জয়চণ্ডী মন্দির সাজানোর জন্য কয়েক লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে। পাশাপাশি বৈষ্ণোদেবীর মন্দির তৈরি করা হচ্ছে এবং সেখানে তিনদিন ধরে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হবে।” কলকাতার পর্যটন মানচিত্রে জয়চণ্ডী মন্দির স্থান পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম আমরা। পর্যটন দফতরের এই উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি।”
(তথ্য সৌজন্যে তাপস প্রামাণিক)