Picnic 2022 : পিকনিকের আনন্দে জঙ্গলের ক্ষতি ঠেকাতে কড়া ব্যবস্থা হুগলিতে – forest department takes firm steps to maintain natural ambience during picnic at chandur forest


West Bengal News : তারস্বরে মাইক, ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ। বন্ধ মদ্যপান, মোচ্ছব। প্রাকৃতিক সুস্থ পরিবেশ বজায় রেখে বনভোজনের ব্যবস্থাপনা হুগলির চাঁদুর ফরেস্টে (Hooghly Chandur Forest)। মানুষের উল্লাসের মাঝেও যাতে বন্য পরিবেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিল বন দফতর। কড়াকড়ির মাঝেও সবুজের সমারোহে শান্ত পরিবেশে বনভোজনের আনন্দ নিতে পেরে খুশি পর্যটকরাও।

Raiganj Kulik Forest Park : কুলিক ফরেস্টে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা বহাল, বন দফতরের সিদ্ধান্ত মন খারাপ রায়গঞ্জবাসীর
হুগলি (Hooghly) জেলার আরামবাগের (Arambagh) অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হলো চাঁদুর ফরেস্ট। দ্বারকেশর নদীর (Dwarakeswar River) তীরে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে এই বনাঞ্চল গড়ে উঠেছে। প্রায় ১০০ একক জমি উপর রয়েছে এই বনাঞ্চল। সবুজের সমারোহ এলাকা জুড়ে রয়েছে নিস্তব্ধতা। ২৫ শে ডিসেম্বর পরিস্থিতি একটু আলাদা। বনভোজনের জন্য প্রতি বছরই বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষ চাঁদুর ফরেস্টে (Chandur Forest) আসেন বনভোজন করতে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এই বছর আরামবাগের চাঁদুর ফরেস্টের নিজস্বতা বজায় রাখতে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ বাঁচাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয় বন দফতর (Forest Department)। বেশ কিছু বিধিনিষেধ মানার পাশাপাশি বন দফতরে অনুমতি নিয়েই বনভোজন করতে হচ্ছে পর্যটকদের। যদিও জঙ্গল বাঁচাতে বন দফতরের এই পদক্ষেপে খুশি স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকরাও।

Garchumuk Deer Park : পার্ক খুললেও বন্ধ চিড়িয়াখানা, বড়দিনে গড়চুমুকে গিয়ে হতাশ পর্যটকরা
আরামবাগ (Arambagh) থেকে আসা এক মহিলা মনিমালা মুখোপাধ্যায় বলেন, “চাঁদুর ফরেস্টে পিকনিক করতে এসে খুব ভালো লাগছে। অন্যন্যা বছর প্রচণ্ড জোরে বক্স বাজে। এই বছর তা হচ্ছে না। সবুজ গাছ গাছালিতে মন ভরে যাচ্ছে। শান্ত পরিবেশে খুব ভালো ব্যবস্থা। অপরদিকে, আরামবাগ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সুকান্ত হালদারও তাঁর পরিবার নিয়ে চাঁদুর ফরেস্টে বনভোজন করতে যান। তিনি বলেন, “এই বছর বনের পরিবেশটা সম্পূর্ণ আলাদা। কোনও শব্দ দূষণ নেই। চিৎকার চেঁচামেচি নেই। মদপান নেই। শান্ত পরিবেশে খুব ভালো লাগছে। এই জন্য বন দফতরকে ধন্যবাদ জানাই।”

Digha Sea beach : বড়দিনের ছুটিতে পর্যটনে জোয়ার, দিঘা থেকে মায়াপুর উপচে পড়ল ভিড়
আরামবাগ চাঁদুর ফরেস্টের রেঞ্জার অফিসার আসরাফুল ইসলাম বলেন, “চাঁদুর ফরেস্টের জীব বৈচিত্র্য বজায় রাখার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। এলাকার মানুষকে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুস্থ রাখতে সচেতন করা হয়। রিজার্ভ ফরেস্ট দূষণ মুক্ত করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। মানুষ সাড়া দিয়েছে। পাখির ডাক কিন্তু শোনা যাচ্ছে। বিগত দিনে ব্যাপক শব্দ দূষণ হতো। পশু-পাখি তাদের আশ্রয়স্থল ছেড়ে চলে যেত। আমরা তা প্রতিরোধ করেছি।” শব্দদূষণ রোধ করার জন্য মাইক-বাক্স বাজানো সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে, মদ্যপান বন্ধ করা হয়েছে। এই কাজ করতে স্থানীয় ক্লাব ও পুলিশ প্রশাসন সাহায্য করেছে বলে জানান তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *