মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) এদিন বলেন, “BSF-কে সীমান্ত পাহারার জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল অথচ এখন BSF-কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্থ করার জন্য কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্রের BJP সরকার।” তাঁর কথায়, যদি ছেলেটি অভিযুক্ত হয় তাহলে BSF চাইলেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে পারত কিন্তু সেটা না করে তাঁরা প্রেমবর্মণকে নির্মমভাবে খুন করেছে। একইসঙ্গে মন্ত্রী জানান, যদি নামটি প্রেমবর্মণ না হয়ে অন্য কোনও সম্প্রদায়ের হত তাহলে এতক্ষণে BJP ও BSF সকলেই ছেলেটিকে চোরা চালানকারী ও অনুপ্রবেশকারী বলে চালিয়ে দিত।
রবিবার নিহত প্রেম বর্মণের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ সহ অন্যান্য তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল নিহত প্রেম বর্মণের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি দল এদিন পরিবারের লোকেদের সঙ্গে গিয়ে দেখা করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল ও ভারবান্দা এলাকা পরিদর্শন করেন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে সেটাও পুলিশের কাছে খোঁজ নেন তাঁরা।
বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া জানান, সিতাই বিধানসভার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় গত কয়েক মাসে ৫-৬ জনের BSF-র গুলিতে মৃত্যু হয়েছে। BSF-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন যেমন রয়েছে তেমনি আগামী বিধানসভার অধিবেশনে BSF-র এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলা হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর পূর্বাঞ্চল কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ-এর সামনে BSF এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলে রাজ্য। সীমান্তে অসাধু কাজকর্ম রুখতে BSF-এর ভূমিকা যে সর্বাগ্রে রয়েছে, এ দিন তা-ও বুঝিয়ে দেয় রাজ্য। এরপরেও জওয়ানের গুলিতে প্রাণহানির ঘটনায় BSF-কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর রাজ্য চাপ বাড়াতে চলেছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে।