‘আত্মহত্যা নয়, খুন হয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত’, বিস্ফোরক দাবি ময়নাতদন্তকারীর


Sushant Singh Rajput, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বইয়ের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিয়ে এখনও তরজা তুঙ্গে। চলছে সিবিআই তদন্তও। কিন্তু এর মাঝেই সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। যিনি সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন, তাঁর দাবি আত্মহত্যা করে মৃত্যু হয়নি সুশান্তের, তাঁকে খুন করা হয়েছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রূপকুমার শাহ, যিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের পোস্টমর্টেম করেন, তিনি দাবি করেন যে, সুশান্তের দেহে ও গলায় একাধিক আঘাতের দাগ পাওয়া যায়। তাঁকে খুনই করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- Tunisha Sharma Suicide: ‘শ্রদ্ধাকাণ্ড দেখে ভয় পাই, ধর্মের কারণেই তুনিশার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙেছি’

‘যেদিন সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যান, সেদিন কুপার হাসপাতালে পোস্টমর্টেম ছিল ৫টি দেহের। সেই পাঁচটার মধ্যে একটা ছিল ভিআইপি। যখন আমরা ময়নাতদন্ত করতে যাই তখন জানতে পারি যে তিনিই হলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সারা দেহে অংশ আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং গলায় ছিল দুই থেকে তিনটে আঘাতের চিহ্ন। সেই পোস্টমর্টেম ভিডিয়ো রেকর্ড করার কথা ছিল কিন্তু উচ্চপদস্থ কর্তাদের তরফে জানানো হয়, ভিডিয়ো করতে হবে না। শুধুমাত্র ছবি তুলতে হবে। তাঁদের কথা মতোই কয়েকটা ছবি তোলা হয়’, দাবি ময়নাতদন্তকারীর। 

আরও পড়ুন- Dev-Rukmini: জন্মদিন বলে কথা! মধ্যরাতে রাস্তায় দেবকে ফ্লাইং কিস রুক্মিনীর

এখানেই শেষ নয়, যিনি পোস্টমর্টেম করেন তাঁর অভিযোগ যে, তিনি প্রথমেই উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানিয়েছিলেন যে, এটা খুন। সুশান্ত সিং রাজপুতকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিয়ম ও নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করতে বলা হয়। তিনি বলেন, ‘যখন প্রথমবার আমি সুশান্তের দেহ দেখতে পাই, আমি আমার উপরের কর্তাদের জানাই যে, এটা আত্মহত্যা নয়, এটা খুন। আমি তাঁদের বলেওছিলাম কিন্তু আমাকে নিয়ম মানতে বলা হয়। তখন আমার সিনিয়ররা বলেন যে, নিয়ম অনুযায়ী কাজ করো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছবি তুলে পোস্টমর্টেম করে দেহটি পুলিসের হাতে তুলে দাও। আমরা রাতে পোস্টমর্টেম করেছিলাম।’

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *