মৈত্রেয়ি ভট্টাচার্য: কোভিড নিয়ে মাথা চাড়া দিয়েছে উদ্বেগ। চাহিদা বেড়েছে বুস্টার ডোজের। কিন্তু টিকা নেই। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরে কোভিশিল্ড নেই। রাজ্যের ভাঁড়ারে কোভিশিল্ড পড়ে আছে মাত্র ২৮০। সেন্ট্রাল স্টোরে করবিভ্যাক্স নেই। নেই রাজ্যের কাছেও। কোভ্যাক্সিন রয়েছে ৪৬০০০।
অন্যদিকে যেহেতু একটা বড় সংখ্যার মানুষই কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছিলেন, তাই বুস্টার ডোজের জন্য চাহিদা সবচেয়ে বেশি এই টিকারই। কিন্তু, তা রাজ্যে কবে আসবে তা নিয়ে কোনও পরিষ্কার দিশা নেই এই মুহূর্তে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের বৈঠকেও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর তরফে এই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল কিন্তু জবাব আসেনি বলে জানা গিয়েছে।
নেজাল ভ্যাকসিনের অনুমোদন মিললেও রাজ্য সরকার, রাজ্যের মানুষের জন্য সেই টিকা নিজেরাই কিনবে কিনা সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ফলে, বুস্টার ডোজ নিয়ে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। অন্য দিকে রাজ্যকে যদি এই ভ্যাকসিন কিনতে হয় তাহলে রাজ্য এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন কিনবে নাকি তাঁর বদলে তাঁরা কোভ্যাক্সিন অথবা কোরবিভ্যাক্স কিনবে তা এখনও জানা যায়নি।
বিভিন্ন গাইডলাইনে যখন বার বার বুস্টার ডোজ নিতে বলা হচ্ছে সেই সময় চাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না ডোজ। কোনও ভ্যাকসিনই কোন পথে রাজ্যে আসবে সেই বিষয়ে এখনও কোন সুস্পষ্ট নির্দেশিকা নেই রাজ্যের কাছে।
আরও পড়ুন: Weather Today: বছর শেষে ‘উধাও’ শীত, কুয়াশায় ঢাকল শহর! একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
একই রকম ছবি রয়েছে বেসরকারি ক্ষেত্রেও। ফলত রাজ্যে বুস্টার ডোজের ভয়ংকর আকাল রয়েছে এবং সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এর সমাধানের কোনও সুস্পষ্ট দিক নির্দেশ এখনও নেই।
আরও পড়ুন: Mithun-Dilip: বিজেপিতে আছেন বলে মিঠুন ব্রাত্য, সঙ্গদোষে দেবও! নন্দন প্রসঙ্গে দিলীপ
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘মানুষকে বোঝানো উচিৎ। মাস্ক পরা উচিৎ। ভিড় চলতেই থাকবে। মানুষের বেরনোর প্রবণতা বেড়েছে। কেন্দ্র চেষ্টা করছে। রাহুল গান্ধি ভারত জড়ো নিয়ে রাজনীতি করছেন। কোভিড বাড়লে এরাই আবার মোদীকে দায়ী করবে। গোটা বিশ্বকে মোদী দেখিয়ে দিয়েছেন, সঙ্কট কিভাবে মোকাবিলা করতে হয়। মানুষকে কিভাবে খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়’।
তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্র ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। এখানে নেই কেন? নিচ থেকে ওপর খতিয়ে দেখা উচিৎ। কেন্দ্র কোথাও অভাব রাখেনি। চিন ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছে। তাই বিপদ বেড়েছে। আমাদের রাজ্যে ভুয়ো সরকার চলছে। শুধু আওয়াজের ওপর আছে। অনেকেই এখনও একটাও ভ্যাকসিন নেননি। তাদের সরকারের বোঝান উচিৎ’।