গত শনিবার হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পিয়ারাবাগান এলাকায় একটি জলাশয় ভরাটের অভিযোগ পেয়ে সেখানে হাজির হন পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায়। জলাশয়ের ধারে পাঁচিল গাঁথার কাজ চলছিল। তা নিয়ে শুরু হয় বচসা। চেয়ারম্যান জানান, কাজ বন্ধ রাখার জন্য। পুলিশ, মহকুমা শাসক এবং জেলা শাসককে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানানা তিনি। এরপরেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হওয়ার মাঝেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। চেয়ারম্যানকে মারমুখী হতেও লক্ষ্য করা যায়। স্থানীয় এক প্রবীণের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
সোমবার সকালে ওই প্রবীণ অসুস্থ ব্যক্তি মিহিরলাল তালুকদারের সঙ্গে দেখা করেন TMC বিধায়ক। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। অসিত মজুমদার বলেন, “মানবিকতার জন্য তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এই বিষয়ে কোনও রং দল দেখি না। কারণ, আমি বিধায়ক।” মিহিরলাল তালুকদারের ছেলে অঞ্জন তালুকদার বলেন, “প্রথমে ওঁকে ধন্যবাদ জানাব। উনি রং-দল না দেখে,অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। রাজনীতি যেখানেই থাক, উনি এসে আমার বাবাকে দেখে গিয়েছেন, তাই ওঁকে প্রণাম জানাই।” আপ্লুত প্রবীণ মিহিরলাল তালুকদারও। তিনি বলেন, “আমি খুব সন্তুষ্ট উনি এসেছেন। চেয়ারম্যান এক তরফা এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই উনি আমাকে ধাক্কা দিলেন। আমার রাতে ঘুম হয়নি। এত লোকের সামনে আমাকে অপমান করেছেন। উনি একজন স্নেহধন্য মানুষ। এমন অবিচার করবেন ভাবতে পারিনি। বিধায়ক আসার পর আমি সন্তুষ্ট ও আনন্দিত।”
যদিও বিষয়টি নিয়ে ‘রাজনীতি’ হচ্ছে বলে দাবি চুঁচুড়া পুরসভার (Chinsurah Municipality) চেয়ারম্যান অমিত রায়ের। তাঁর কথায়, যাঁর কথা বলা হচ্ছে, উনি হয়তো আমার থেকে ছোটোই হবেন। ওঁরাই আমাদের গালিগালাজ করেন, চোর বলেন। ওঁরাই আমার দিকে তেড়ে আসেন। মারতে উদ্ধত হন। আমি আত্মরক্ষার্থে হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দিই। এটাই হয়েছে ঘটনা। এটা নিয়েই রাজনীতি হচ্ছে। বিধায়ক অসিত মজুমদারের পদক্ষেপ নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, “অতি উৎসাহী হয়ে গিয়েছেন ওঁর বাড়ি। যেদিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আমাকে পুরপ্রধান করেছেন, সেইদিন থেকে আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।”