কিন্তু, পার্থ-অর্পিতার সঙ্গে নাম জোড়ার পর রীতিমতো ‘কায়া’ বদলে গিয়েছে অপার। পৌষ মেলার পাশাপাশি বোলপুরের এই বাড়িও রীতিমতো পর্যটনকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেলা দেখার পরে বহু পর্যটকরাই পৌঁছে যাচ্ছেন ‘অপা’-র সৌজন্য প্রত্যক্ষ করতে। বাড়ির সঙ্গে সেলফিও তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই বাড়িটি তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দেখছেন। কিন্তু, পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তাঁরা কোনও কিছুই জানতেন না। সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসার পরেই রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। সেই সময়ই তাঁরা ‘অপা’ -র সঙ্গে পার্থ-অর্পিতার যোগ থাকতে পারে, এই বিষয়টি প্রথম জানেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, পৌষমেলায় পর্যটকদের ভিড় থাকে। কিন্তু, ‘অপা’ দেখতেও যে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে পারেন, তা তাঁদের ধারণারও অতীত ছিল। গত তিন থেকে চার দিন ধরে এই বাড়ির সামনে শতাধিক লোক আসছেন বলে জানানো হয়। ‘অপা‘ দেখতে আসা বেলঘরিয়ার বাসিন্দা তাপস প্রামানিক বলেন, “আমরা তারাপীঠ গিয়েছিলাম পুজো দিতে। ফেরার পথে পৌষ মেলা দেখতে গিয়েছিলাম। তার ফাঁকেই একবার ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের’ অপা দেখে গেলাম। সঙ্গে পরিজনদেরও দেখালাম। সকলে সেলফিও তুলে নিয়েছি। এই বাড়িটা এখন এমন পরিচিতি পেয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে এটা একটা ঘোরার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরাই এত কাছে এসেই বা বাদ পড়ি কেন!”
অন্যদিকে, ‘অপা’-র সামনে সেলফি তুলে অপর এক পর্যটক বলেন, “এই বাড়িটা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে অনেক কিছু শুনেছি। আমরা বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছিলাম। এই বাড়িটা না দেখলেই নয়! তাই সকলে মিলে চলে এসেছি। খুবই সুন্দর বাড়িটা। তার বাড়ি, কী ইতিহাস, অত কিছু আমি আর জানতে চাই না।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।