স্থানীয় সূত্রে খবর, নদিয়া জেলার (Nadia) নাকাশিপাড়া মহকুমার বীরপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত (Birpur Gram Panchayat) অফিসে সোমবার ভাঙচুর চালায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, আলমারি সহ সমস্ত আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, আবাস যোজনা তালিকায় অনিয়ম করেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। যাঁদের তালিকায় নাম থাকার যোগ্য তাঁদের নাম নেই অথচ যাঁদের পাকা বাড়ি আছে, তাঁদের নাম তালিকায় আছে। এই অভিযোগেই পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি গোটা অফিস চত্বরে ভাঙচুর চালায় হয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, “আমাদের এখানে অযোগ্যদের ঘর দেওয়া হয়েছে। যাঁরা পাকা বাড়িতে থাকে, তাঁরা ঘর পেয়েছে। অথচ, আমাদের নাম তালিকায় নেই। পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। সেইজন্য আমরা আজ এখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।”
পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দাবি, এদিন আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকা সংশোধনের জন্য ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে পঞ্চায়েত অফিসে (Panchayat Office) একটি সর্বদলীয় সভা ডাকা হয়েছিল। সভা চলাকালীন হঠাৎই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পঞ্চায়েত এসে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বীরপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা সরকার বলেন, “আমাদেরকে BDO সাহেব বলেছিলেন, পঞ্চায়েতের সকল সদস্য মিলে আলোচনা করে একটি সম্মতিপত্র জমা দিতে। সেই কারণেই আজকে আমি সকল পঞ্চায়েত সদস্যকে আলোচনায় ডেকেছিলাম। এর মাঝেই কিছু লোক এসে আমাদের অফিসে ভাঙচুর চালায়। আমার অফিসের কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল ভেঙে দেওয়া হয়। আমরা বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি।”
সোমবার স্থানীয় গ্রামবাসীদের হামলার ঘটনার পরে পঞ্চায়েত সদস্যের বৈঠক বন্ধ করে দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় নাকাশিপাড়া থানার পুলিশকে (Nakashipara Police Station)। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আবাস যোজনা নিয়ে সমস্যার সমাধান না হলেও আগামী দিনেও বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করে আবাস যোজনার (Awas Yojana) মাধ্যমে প্রকৃত উপভোক্তাদের ঘর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে।