জানা গিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) প্রকাশিত তালিকায় ১১ নম্বরে নাম রয়েছে উত্তম কুমার চট্টোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি ১২ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁরই ভাই আদেশ কুমার চট্টোপাধ্যায়ের। বাঁকুড়া-১ ব্লকের পাতালখুরি গ্রামের বাসিন্দা আদেশ তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি ও বিকনা ক্ষীরোদ প্রসাদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের গ্রুপ ডি পদে কর্মরত। কমিশনের তালিকা প্রকাশের পরেই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় এলাকায়। তারই মধ্যে এদিন DYFI তরফে বেআইনি ভাবে নিয়োজিত চাকরি প্রার্থীদের বরখাস্তের দাবিতে পোস্টার পড়ল এলাকায়। স্থানীয় DYFI নেতৃত্বের দাবি, শাসক দলের প্রভাব খতিয়ে তিনি এই চাকরি পেয়েছেন। অবিলম্বে বরখাস্তের দাবি সংগঠনগতভাবে জানানো হয় তাঁদের তরফে।
হিন্দু স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে কর্মরত উত্তম চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবারও স্কুলে আসেন। স্কুলেই তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও কিছু বলবো না।” তবে ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছিলেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ‘খেয়াল নেই’ বলেই দাবি করেন তিনি। তবে টাকার বিনিময়ে নয়, পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি উত্তমের। এ বিষয়ে হিন্দু হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উদয় ভানু মিত্র বলেন, “উনি আজও স্কুলে এসেছেন। সরকারিভাবে উত্তম চট্টোপাধ্যায় বিষয়ে কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তবে আগামী দিনে সরকারি নির্দেশিকা এলে সেই মতো তাঁরা পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, OMR শিটে কারচুপি করে গ্রুপ ডি পদে গোটা রাজ্য থেকে ১ হাজার ৬৯৮ জনের নাম পায় CBI। সেই তালিকা জমা দেওয়া হয় আদালতে। আদালত সেই তালিকা প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেয় কমিশনকে। তালিকাভুক্তদের ১ হাজার ৬৯৪ জন স্কুলে চাকরিও করছেন বলে জানা যায়। এবার তাঁদের খুঁজে বের করতে ডিআইদের নির্দেশ দিয়েছে SSC।