ছয় দিনের এই ক্যাম্পে ট্রেকিং, রক ক্লাইম্বিং, রেপেলিং, জুমার ক্লাইম্বিং, সোলো ক্যাম্পিং, সার্ভাইভাল, রিভার ক্রসিং, ফায়ার এন্ড শেল্টার মেকিং, ট্রেজার হান্ট এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সংস্থার অভিজ্ঞ পর্বতারোহী ও পরিবেশবিদ রা এই ক্যাম্পে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষন দেবেন। জলপাইগুড়ি (Jalpaguri) ছাড়াও উত্তরবঙ্গ ও কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৭৩ জন শিক্ষার্থী (যার মধ্যে ৩৬জন মহিলা) এবং সংস্থার ৩০ জন প্রশিক্ষক এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পের মুখ্য প্রশিক্ষক এবং বিশিষ্ট পর্বতারোহী ভাস্কর দাস। ক্যাম্প উদ্বোধন করেন – জলপাইগুড়ির পুলিশ (Jalpaguri Police) সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো ক্লাব সম্পাদক দীপঙ্কর পুরোকায়স্ত, ক্যাম্প কমান্ডেন্ট সৌরেন সেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এই বছর এই ক্যাম্প ২৮ বছরে পা দিয়েছে। ক্যাম্প করতে এসে বেজায় খুশি শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে খুদে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্প, ট্রেকিং এবং সর্বোপরি ভ্রমণের বিষয়টি তাঁদের আনন্দ বহুগুনে বাড়িয়ে তুলেছে। এক খুদে শিক্ষার্থী বলেন, “এখানে ক্যাম্প করতে এসে ভীষণ খুশি। আজকেই আমরা সামসিং-এর কাছে একটা জায়গায় ট্রেকিং করেছি। আবহাওয়া খুব ভালো রয়েছে। আমরা সকলে অনেক কিছু শিখছি আবার মজাও করছি।”
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি (Jalpaguri) নেচার এন্ড ট্রেকার্স ক্লাব বছরের বিভিন্ন সময়েই ট্রেকিং-এর আয়োজন করে থাকে। গত নভেম্বর মাসেই ট্রেকিং করতে গিয়ে উত্তরবঙ্গে একটি নতুন পথের সন্ধান পায় এই ক্লাবের সদস্যরা। নভেম্বরে প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করাতে এবং অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ট্রেকিং এর জনপ্রিয়তা বাড়াতে একদিনের ট্রেকিংয়ের আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই এক নতুন পথের সন্ধায় পায় তাঁরা। আট কিলোমিটার এই ট্রেক শুরু হয়েছিল কুমাই এর বাংলোটার থেকে। কুমাই ভিউ পয়েন্ট হয়ে ধোরপুঁজে পৌঁছয় অংশগ্রহণকারীরা। সেখান থেকে একদম নতুন পথ ধরে আবার বাংলোটায় ফিরে আসে তারা।