গত ২৩ ডিসেম্বর বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটে আহত হয় ওই নাবালক। হঠাৎই বোমা ফেটে যাওয়ায় গুরুতর জখম হয় দুজনে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের প্রথমে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Rampurhat Medical College & Hospital) ভর্তি করা হয়। এরপর তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় দুজনকে। এরপর আজ ভোর রাতে মৃত্যু হয় এক নাবালকের। মৃত নাবালকের নাম সোহান শেখ মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর সকাল ১১ টা নাগাদ। বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার (Margram Police Station) কালুহা গ্রামপঞ্চায়েতের একডালা গ্রামে একজনের বাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। বোমা ফেটে আহত হয় দুই শিশু। জামিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ওই বোমা মজুত রাখা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে বাড়ির চিলে কোঠাতে মই দিয়ে উঠে ওই দুই শিশু খেলতে দিয়েছিল। সেখানেই খেলা করতে গিয়ে বোমা ফেটে যায়। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় ওই দুই শিশু। তবে বাড়িতে বোমা নয়, একসঙ্গে চকলেট বাজি বোমা ফেটে ওই শিশুগুলো আহত হয়েছে বলে জানান জামিরুল ইসলাম।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ওই ব্যক্তির বাড়িতে বোমাগুলো মজুত রাখা ছিল। শিশুগুলি বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমাগুলি ফেটে যায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় দুই শিশু। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Rampurhat Medical College & Hospital) পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মারগ্রাম থানার পুলিশ (Margram Police Station)। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জামিরুল ইসলাম স্থানীয় তৃণমূলের কর্মী। তবে জামিরুল কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়, চাষবাস করেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর বাড়িতে বোমা কোথা থেকে এল, তিনি বাড়িতে কী কারণে বোমা মজুত করে রেখেছিল সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।