প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) দুর্নীতি বিতর্কের মধ্যেও একের পর এক সমবায় নির্বাচনে সবুজ ঝড় অব্যাহত। বুধবার কেশবপুর জনতা কো-অপারেটিভ এগ্রি ক্রেডেটি সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচন উপলক্ষ্যে সকাল থেকে ছিল টানটান উত্তেজনা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৭০০। তৃণমূল ৬৭টি আসনে প্রার্থী দিলেও, BJP ৪৭ এবং CPIM ৩৬টি আসনে প্রার্থী দেয়। দিনের শেষে শেষ হাসি হাঁসল তৃণমূলই।
সমবায়ের ৬৭ আসনের মধ্যে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনটি আসনে জয়ী হয় রাজ্যের শাসক দল। বাকী ৬৪ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, ৬৪ আসনের মধ্যে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ৬৩ আসনে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩টি আসন নিয়ে, মোট ৬৬টি একটি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। বিজেপি পেয়েছে ১টি আসন। সমবায় নিজেদের কব্জায় রাখতে পেরে স্পষ্টত খুশির হাওয়া তৃণমূল শিবিরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) আগে এই জয় দলকে বাড়তি অক্সিজেন যোগাল বলে মনে করছে তারা। সেই সঙ্গে আগামী ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল ১০০ শতাংশ ভালো ফল করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে সরব হয়েছে BJP। যদিও গেরুয়া শিবিরের এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন শাসক দলের নেতারা। কেন্দ্রের শাসক দলের প্রতি মানুষের যে আস্থা নেই, এই নির্বাচন তা প্রমাণ করল বলে জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে, সমবায় নির্বাচনের ফল পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections) পড়বে না জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের BJP কিষাণ সভার সভাপতি বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। আগামী দিনে মানুষ শাসক দলের এই ভাওতা বুঝতে পারবেন বলে দাবি করেন। CPIM-র সঙ্গে জোট করে লড়ার কথাও অস্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ।
জেলা BJP-র কৃষাণ শাখার সভাপতি আরও বলেন, গত সমবায় নির্বাচনে একটি আসনও ছিল না BJP-র। সেই তুলনায় এবার দল অনেক ভালো ফল করেছে বলে দাবি করেন। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশও করেন তিনি।