রেল পুলিশের সূত্রে খবর, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র রেলের জমির মধ্যে পড়ে। আজ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভাঙার নোটিশ তাদের কাছে এসেছে। তবে স্থানীয়দের বিক্ষোভে স্বাস্থ্য কেন্দ্র উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামীদিনে নোটিশ এলে তা কার্যকরী করা হবে বলে জানিয়েছে RPF। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র কোনওভাবেই ভাঙতে দেওয়া হবে না।
এক আরপিএফ আধিকারিক বলেন, “কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার মধ্যে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র পড়ছে। এটা রেলের জায়গা তাই নোটিশ পেয়ে আমরা এটা ভাঙতে এসেছি। কিন্তু, স্থানীয় লোকেদের বাধাতে এটা ভাঙা সম্ভব হয়নি। আগামী নিয়ে আবার নোটিশ দেওয়া হলে সেই অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ করব।”
তৃণমূল নেতা গৌরিকান্ত মুখার্জি বলেন ‘এখানে স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বাচ্চাদের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার চলে। রেল চাইছে তাদের যে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পিলার তোলার জন্য এই সেন্টার ভাঙতে চাইছে। স্থানীয় মানুষের অসুবিধার কথা জেনে চুঁচুড়া বিধায়কের নির্দেশে ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত ও চুঁচুড়া পুরসভার তৃণমূল নেতৃত্ব একসঙ্গে এর প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই সেন্টারের মাধ্যমে গরীব মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়ে আসছে। রেল যদি এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলে আরও বড় আন্দোলন করা হবে। আগামী তিন তারিখ রেল স্থানীয় পঞ্চায়েত বসে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে রেল। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনও পরিষেবা ব্যাহত করা যাবেনা।”
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ডালিয়া মজুমদার সরকার বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিছুটা অংশ রেলের মধ্যে পড়ে যায়। নোটিশ দিয়ে সেটা রেল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যদি ভেঙে দেওয়া হয় তাহলে স্কুলের বাচ্চা ও মায়েদের সমস্যায় পড়তে হবে। যদি বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তবে স্থানীয়দের কোনও আপত্তি থাকবে না।”