দুই লরির সংঘর্ষে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। উদ্ধারের পর খালাসিল ঝলসানো মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই দুর্ঘটনার ফেলে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
স্থানীয় এক বাসিন্দা পার্থ চক্রবর্তী বলেন, “ভোররাতে ধান বোঝাই লরির সঙ্গে কয়লার লরির সংঘর্ষ হয়। আমরা সকালে ঘটনাস্থলে এসে দেখি যে এখানে একটি গাড়ি পড়ে রয়েছে। আমার শুনলাম যে কয়লার গাড়িটিতে আগুন লেগে গিয়েছিল। ওই গাড়ি খালাসির আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। দমকল এসে আগুন নিভিয়েছে বলেও শুনেছি।” অন্যদিকে স্থানীয় এক কারাখানার নিরাপত্তারক্ষী বলেন, “রাতে শোরগোল শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখি রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। গাড়ির ভিতর আটকে পড়া একজনের মৃত্যু হয়েছে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন এখানে এসে আগুন নিভিয়েছে। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।”
অন্যদিকে মঙ্গলবার ভোরে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর-জলঙ্গি রাজ্য সড়কের উপর দৈলতাবাদ থানার নমাইলে মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে একটি যাত্রী বোঝাই বাস। সেই সময় বাসে মোট ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। আহতদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Murshidabad Medical College Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। লরির সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজনের আঘাত গুরুতর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।